Sharing is caring!
অভিযোগ ডেস্বঃবরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফতারে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন শুনানির আবেদন করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম রোববার সকালে এ জামিন শুনানির আবেদন করেন। আবেদনের ফলে এ মামলাটি রোববার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্য তালিকায় স্থান পেয়েছে।
বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও মো. হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মিন্নির জামিন আবেদনটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য আদালতের কার্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে এ মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, মিন্নির জামিন শুনানির জন্য আমরা আবেদন করেছি। আমার মিন্নির জামিনের জন্য আদালতে যুক্তি তুলে ধরব।
এদিকে মিন্নির জামিন শুনানির কথা শুনে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ও মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।
গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরসহ মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বক্তব্য রেকর্ড করতে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টায় মিন্নিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্নিকে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে মিন্নির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী।
পরদিন বৃহস্পতিবার বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ ও বুধবার রিমান্ড মঞ্জুরের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিন্নি তার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন।
এরপর শুক্রবার বিকেলে মিন্নি একই আদালতে তার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মিন্নিসহ ১৪ জন অভিযুক্ত রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলার তিন নম্বর আসামি রিশান ফরাজী রিমান্ডে রয়েছেন। আর এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।