২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রিফাত হত্যার মামলায় মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত

admin
প্রকাশিত জুলাই ২১, ২০১৯
রিফাত হত্যার মামলায়  মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত

Sharing is caring!

অভিযোগ ডেস্ক:
রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে সকালে মিন্নির জামিন আবেদন করে আদালতের কার্যতালিকায় তোলা হয় মামলাটি। পরে বেলা ১১টার দিকে মিন্নির জামিনের জন্য শুনানি শুরু হয়।

এ সময় মিন্নির জামিনের জন্য আদালতে শুনানিতে তার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের, অ্যাডভোকেট দীপক চন্দ্র হালদার, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল নোমান, অ্যাডভোকেট সাহিদা বেগম, অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ ও অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান।

এদিকে রিমান্ড শেষে মিন্নিকে গত শুক্রবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। মিন্নি বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক রিফাত শরীফ হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপরে মিন্নিকে কারাগারে পাঠান একই বিচারক।

এর আগে গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ওই দিন রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে ওই মামলায় বুধবার বিকেলে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই পাঁচ দিন রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এ ছাড়া শুক্রবার সকালে এ মামলার তিন নম্বর আসামি রিশান ফরাজীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মিন্নিসহ ১৩ জন অভিযুক্ত রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলার দুজন অভিযুক্ত রিমান্ডে রয়েছেন। আর এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।