Sharing is caring!
ইফতেখার আলম চৌধুরী,কানাইঘাট প্রতিনিধি ::
রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশ’র ডিস্ট্রিবিউটর সাহেদ আহমদ চৌধুরী কানাইঘাটের শিওরক্যাশ এজেন্টদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। শিওরক্যাশ এজেন্টর ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলেছেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে শিওরক্যাশ এজেন্ট আব্দুল কাহির বলেন, গত ১ জুলাই হতে বিভিন্ন সময়ে জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশার গ্রামের মারুফ আহমদ চৌধুরীর পুত্র বিয়ানীবাজারস্থ এমএস কালার্স প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর শিওরক্যাশ’র তিন উপজেলার ডিস্ট্রিবিউটর সাহেদ আহমদ চৌধুরী কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন বাজারের শিওরক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের কাছ থেকে বিটুবি করে বিভিন্ন তারিখে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন।
অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তার একাউন্টের ব্যাংকের চেক দিয়ে নগদ ও বিটুবি করে টাকা নেন। শিওরক্যাশ এর এজেন্টদের লক্ষ লক্ষ টাকা সাহেদ চৌধুরী কর্তৃক হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শিওরক্যাশ এজেন্টরা প্রাথমিক পড়ুয়া উপজেলার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং করোকালীন সরকারের বিভিন্ন অনুদানের টাকা গ্রাহকদের দিতে পারছেন না। যার কারনে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাহির লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, তাদের শিওরক্যাশ এজেন্টদের টাকা সাহেদ চৌধুরী হাতিয়ে নেওয়ার পর তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে গিয়ে তাকে খোঁজে পাচ্ছেন না, কোন ব্যবসায়ীর ফোনও ধরছেন না তিনি।
প্রতিকার চেয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে কানাইঘাটের শিওরক্যাশ এজেন্টরা লিখিত আবেদন করেছেন। রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশের কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হয়েও তারা কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
এ অবস্থায় সাহেদ চৌধুরী কর্তৃক শিওরক্যাশ এজেন্টদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া টাকা উদ্ধার এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সুষ্ঠু ভাবে শিওরক্যাশ এজেন্ট মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শিওরক্যাশ এজেন্টরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিওরক্যাশ এজেন্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ইয়াহিয়া, শিব্বির আহমদ, জাকারিয়া, সেলিম উদ্দিন, আব্দুস শহিদ, জিল্লুর রহমান, বদরুল ইসলাম, মাহমুদ হোসেন, হেলাল আহমদ, আলমাছ উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন সহ আরো বেশ কয়েকজন।