পুনম শাহরীয়ার ঋতুঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের সাকাশ্বর এলাকায় একটি সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় দুই বছর ধরে মই দিয়ে বিভিন্ন বয়সের শত শত পথচারী যাতায়াত করছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাকাশ্বর এলাকায় তুরাগ নদের ওপর কয়েক বছর ধরে নির্মাণাধীন রয়েছে একটি সেতু। সেতুটির পশ্চিম পাশের কাজ প্রায় শেষ। তবে পূর্ব পাশের অংশটি এখনও সড়কের সঙ্গে সংযোগ করা হয়নি। কিন্তু সেতুটির নির্মাণ কাজের জন্য এর পূর্ব পাশে তৈরি করা হয়েছে লোহার মই। সংযোগ সড়ক না থাকায় ওই মই বেয়েই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডে খালিশাবর্থা এলাকাসহ কয়েকটি এলাকার শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর উঠছে এবং তুরাগ নদ পারাপার হচ্ছে। রুহুল আমীন নামে স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ধীরগতিতে চলছে সাকাশ্বর এলাকায় তুরাগ নদের ওপর নির্মিত সেতুর কাজ। পাশেই রয়েছে খেয়াঘাট। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ খেয়া দিয়ে পারাপার না হয়ে ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে পারাপার হচ্ছে। মাটি থেকে লোহার মই বেয়ে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু সেতুর ওপর উঠতে হয়। পরে তুরাগ নদ পার হতে হয়।
মো. সোহেল নামে আরেক বাসিন্দা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের খালিশাবর্থা এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য তেমন কোনো রাস্তা নেই। সাকাশ্বর এলাকার সেতুটি হয়ে গেলে চলাচলের জন্য সুবিধা হতো। তবে সেতুর কাজটি ধীরগতিতে হওয়ায় মানুষ একটি লোহার মই বেয়ে সেতুতে উঠে নদ পারাপার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, সাকাশ্বর এলাকার ওই সেতু থেকে মাস্টারবাড়ি এলাকা পর্যন্ত রাস্তার জন্য ৪০ ফুট প্রশস্ত করে জায়গা নেওয়া হয়েছে। তবে কাজ নির্মাণাধীন রয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন লোহার মই বেয়ে ব্রিজে উঠে তুরাগ নদ পারাপার হচ্ছে- বিষয়টি আমার জানা নেই।
কালিয়াকৈর উপজেলা প্রকৌশলী সরকার সাজ্জাদ কবীর বলেন, আমার উপজেলার এলাকায় হলেও কাজটি মূলত সদর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর করছে। উপজেলা প্রকৌশলীরা এ কাজটির সুপারভিশন করছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.