Sharing is caring!
আব্দুল করিম,চট্রগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানাঃ-
চিড়িংতে জেলি দিয়ে ওজন বৃদ্ধি, মিষ্টিতে অননুমোদিত রং, নিষিদ্ধ এনার্জি ড্রিংক, মেয়াদ বিহীন ওষুধ বিক্রির দায়ে নিয়মিত জরিমানা গুনছেন ব্যবসায়ীরা। তারপরও যতক্ষণ অভিযান ততক্ষণ ঠিক তারপর আবারও ভেজাল ও ক্ষতিকর পণ্য বিক্রি থামানো যাচ্ছে না।
চট্টগ্রাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযানেও দমছে না অসাধু ব্যবসায়ীরা। আজও বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ১২টি দোকানকে বিভিন্ন ধারায় ৫৭ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নগরীর কোতোয়ালী ও চকবাজার থানায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
অভিযানে কোতয়ালী থানার কাজীর দেউড়ি বাজারের মিজান সওদাগরের মাছের দোকানকে জেলিযুক্ত চিংড়ি বিক্রির জন্য রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর জেলিযুক্ত চিংড়ি ধ্বংস করা হয়। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় মিশু সওদাগর, হানিফ সওদাগরের মুরগির দোকান, সুলাইমান সওদাগর, আক্তারুজ্জামানের মুরগির দোকান, হারুন সওদাগর, ইলিয়াসের মুরগির দোকান ও আব্দুল হাকিমের মুরগির দোকানকে দেড় হাজার টাকা করে জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
আন্দরকিল্লার শরিফ স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য ও অননুমোদিত জর্দার রং বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ধ্বংস করা হয় জর্দার রংগুলো।চকবাজার থানার দিদার মার্কেটের সেভেন মার্টকে অননুমোদিত জর্দার রং সংরক্ষণ, নিষিদ্ধ ঘোষিত এনার্জি ড্রিংক সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন বিদেশি কসমেটিকসে বৈধ আমাদানিকারকের সিল না থাকা ও নিজস্ব প্রাইস-ট্যাগ দেওয়ার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ বর্ণিত অননুমোদিত রং ও এনার্জি ড্রিংক ধ্বংস করা হয়।
দিদার মার্কেটের খোদেজা ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চন্দনপুরা এলাকার সিটি ফার্মাকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ সংরক্ষণ করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।