৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কাতারে শ্রমিকদের ২০০ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা উদযাপন!

admin
প্রকাশিত জুলাই ২০, ২০১৯
কাতারে শ্রমিকদের ২০০ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা উদযাপন!

Sharing is caring!

 

মারুফ রানা দোহা কাতার থেকেঃ

‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালে। এর আগে সর্বশেষ টুর্নামেন্টটির আয়োজন করেছিলো রাশিয়া। কিন্তু ২০২২ সালের আসরটি ইউরোপ কিংবা লাতিন আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হবে না। এশিয়ান ধনকুবের দেশ কাতার আয়োজন করতে যাচ্ছে পরবর্তী বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট। আর সেই কারণে আরো কয়েক বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছিলো কর্তৃপক্ষ। মোট ৫টি শহরের ৮টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আসরটি। আর এই স্টেডিয়ামগুলোর নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। যে ৪টি স্টেডিয়াম এখনো নির্মাণাধীন রয়েছে সেগুলোর কাজও আগামী বছর নাগাদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
২০০ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা উদযাপন অনুষ্ঠান
আর এই বিশাল আয়োজনটি সফলভাবে ফুটবল বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য সকল নির্মাণকাজ পরিচালনা করতে একটি সুপ্রিম কমিটি গঠন করেছিলো কাতারি আমিররা। সেই সুপ্রিম কমিটি শ্রমিকদের নিয়ে চলতি সপ্তাহে নির্মাণকাজের ২০০ মিলিয়ন কর্ম ঘণ্টা উদযাপন করেছে। মূলত নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শুরু থেকে এখন অবধি ২০০ মিলিয়ন ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। আর সেই কারণে শ্রমিকদের উৎসাহ যোগাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুপ্রিম কমিটি।
অনুষ্ঠানের অংশবিশেষ;
সুপ্রিম কমিটি উক্ত অনুষ্ঠানে সকল কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের কাজের গতিবিধি তুলে ধরেন। কমিটির কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের প্রকাশিত তথ্যমতে আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে কাতার প্রায় ৭৫% কাজ ইতোমধ্যেই শেষ করেছে। যে ৪টি স্টেডিয়াম এখনো নির্মাণাধীন সেগুলোর কাজও শিগ্রই শেষ হবে বলে তারা আশ্বাস দেন। সুপ্রিম কমিটির দেয়া তথ্যমতে প্রকৌশলীরা স্টেডিয়াম সহ প্রায় ৪০টি নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে। সেগুলোর মধ্যে আল খোর শহরের আল রায়ান ও আল বেয়েত স্টেডিয়ামদ্বয় চলতি বছরের শেষদিকে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
কর্মরত শ্রমিক
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রকৌশলীরা আরব বিশ্বের প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে নিজেদের মতামত জানান। সেই সঙ্গে এই নির্মাণকাজে যুক্ত শ্রমিকদের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে কাতারে চলমান এই বিশাল প্রজেক্টে হাজার হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করছেন। বাংলাদেশীদের পাশাপাশি সেখানে ভারত, নেপাল ও আফ্রিকান শ্রমিকও রয়েছে। ২০০ মিলিয়ন কর্ম ঘণ্টা উদযাপনকারী শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম বিশ্বকাপ উপভোগ করবে বিশ্ব। আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো বাংলাদেশী এবং অন্যান্য শ্রমিক ভাইদের প্রতি।