২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আশুলিয়া বাসিকে কাঁদিয়ে গেলেন মানবতার ফেরিওয়ালা ওসি শেখ রিজাউল হক (দিপু)

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০
আশুলিয়া বাসিকে কাঁদিয়ে গেলেন মানবতার ফেরিওয়ালা ওসি শেখ রিজাউল হক (দিপু)

Sharing is caring!

 

মনিকা হাসান :: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন শেখ দিপু। পুরো নাম শেখ রিজাউল হক (দিপু)। ছিলেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বিগত দু বছরের সফল দায়িত্ব পালনের মধ্যে অনেকটা স্বেচ্ছায় আশুলিয়া থানা ছেড়ে বদলি হয়ে চলে গেলেন মানবিক এই পুলিশ কর্মকর্তা।

 

কোন পুলিশ কর্মকর্তার বিদায়ে মানুষ যে আবেগে অশ্রু বিসর্জন দিতে পারে,আশুলিয়ার মত জায়গায় সেই দৃষ্টান্তই রেখে গেলেন তিনি।

 

শেখ রিজাউল হক (দিপু)’র বাবা প্রয়াত শেখ ইকরামুল হক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য। বঙ্গবন্ধুর স্বজন,টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের সীমানা ঘেঁষে থাকা প্রথম বাড়িটিই তার। সবকিছু ছাপিয়ে তিনি ও তার পরিবার বর্গ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। আদর্শ ও নৈতিকতা যেন বঙ্গবন্ধুর সূত্রে গাঁথা, তিনি স্নেহ মানুষকে কাদাতে পারে, হাসাতেও পারে ভালোবাসা দিয়ে।

 

অথচ এই মানুষটি পেশাগত জীবনের বাইরে কখনোই অপ্রয়োজনে “নিজের বাড়ি গোপালগঞ্জ” তা নিয়ে জাহির করেননি। বরং সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছেন নীরবেই।

 

তিনি একাধিকবার হয়েছেন ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।

 

থানা কম্পাউন্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অসহায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা, চিকিৎসার অভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যুপথযাত্রী এক শিশুর চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ।

 

এমন হাজারো মানবিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শেখ রিজাউল হক (দিপু)’র নাম। এর বাহিরেও সাটুরিয়া ও আশুলিয়া থানা কমপ্লেক্সে পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করেও বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।

 

ওসি “প্রদীপরা” যখন পুলিশের ইমেজ কে ধ্বংস করে,তখন তিনি পুলিশের পক্ষ থেকে মানবিক কাজ দিয়ে সেই বাহিনীর সুনাম কে সমুজ্জ্বল করেছেন, শেখ রেজাউল হক (দিপু) ।

 

আপাতত এক মাসের বিশ্রাম। তারপরে নারায়ণগঞ্জ জেলায় হবে, মানবতার ফেরিওয়ালা নামে পরিচিত ওসি শেখ রিজাউল হক (দিপু)’র পরবর্তী কর্মক্ষেত্র।

 

কেবলমাত্র ধামরাই কিংবা আশুলিয়া থানার (ওসি) হিসেবেই নয়, একজন অসামান্য, মানবিক ও সৎ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ও মানবিক গুণাবলির কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।

 

আশুলিয়া সহ-সারা দেশবাসীর হৃদয়ের মাঝে ছিলেন, আছেন, থাকবেন এমনই মন্তব্য করছেন আশুলিয়ার সর্বোত্তম ও জনগণ। ভালবাসার জাগায়টা আপনার জন্য ছিল, আছে, থাকবে এই প্রত্যাশা আশুলিয়া বাসির।

 

সারা জীবন শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করবে, সকলের
হৃদয়ের মাঝে এক উজ্জল নহ্মত হয়ে থাকবেন এই মানবতার ফেরিওয়ালা।

 

আশুলিয়ার সর্বস্তরের জনগণ আরো জানান, ওসি শেখ রেজাউল হক (দিপু)র মতো বাংলাদেশের প্রত্যেকটি থানায় এরকম মানবতার অফিসার ইনচার্জ তৈরি হলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে।

 

এই প্রিয় ব্যক্তি যেখানেই থাকেন ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা সকলের। তাহার জন্য দোয়া ও অনেক ভালোবাসা রইল। আশুলিয়া সহ সারা দেশবাসীর পক্ষ থেকে আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছেন আশুলিয়া থানার সর্বোত্তম জনগণ।