১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

হালিশহরের মাদকাসক্ত পূর্ণবাসন কেন্দ্রে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

admin
প্রকাশিত জুলাই ২০, ২০১৯
হালিশহরের মাদকাসক্ত পূর্ণবাসন কেন্দ্রে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

Sharing is caring!

 

আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ-রাঙ্গামাটি জেলার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন আনু (৩৭)। বেশ কিছুদিন স্পেন প্রবাসী হয়ে বছর খানেক আগে ফিরেন দেশে। দেশে ফিরেই আশক্ত হয়ে পড়ে মাদকের করাল গ্রাসে।

তাকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে স্বজনরা আনোয়ারকে হালিশহর থানার এইচ ব্লকের ১ নং রোড়ের ২ নং লাইনের ৭ নং বাড়ীতে অবস্থিত ‘সেভার আলোর পথ’ নামে একটি রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি  করিয়ে দেন।

তবে তার স্বাভাবিক হয়ে আর ফেরা হয়নি, পরপারের ঠিকানায় লাশ হয়ে বেরিয়েছেন এ যুবক। শুক্রবার ১৯ জুলাই রাতে রহস্যজনক মৃত্যু হয় তার।তবে রিহ্যাব সেন্টারের পরিচালকের দাবী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে সে মারা গেছে। অন্যদিকে স্বজনরা তার মৃত্যুটা স্বাভাবিক নয় দাবী করে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
নিহত আনোয়ারের ভাগিনা শাহিন জানান, আমার মামা স্পেন প্রবাসী ছিলো। তিনি দেশে আসার পর মাদকাসক্ত হয়ে গেলে তানভীর নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে গত ৮ ফেব্রুয়ারী মামাকে হালিশহরের সেভার আলোর পথ রিহ্যাব সেন্টারে চিকিৎসার জন্য পাঠাই।

শুক্রবার রাতে রিহ্যাব সেন্টার থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয় মামা অসুস্থ্য উনাকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আপনারা সেখানে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দিয়ে বলে মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে রোগীকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে আপনারা সেখানে আসেন। আমরা হাসপাতালে গিয়ে মামার লাশ দেখতে পাই। এসময় মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মেট্রোপলিটন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার ৫ ঘন্টা আগেই তিনি মারা গেছেন।

মামা আনোয়ারের মৃত্যুটা রহস্যজনক উল্লেখ করে নিহতের ভাগিনা শাহিন বলেন, বিষয়টি চকবাজার থানাকে অবহিত করে লাশের ময়নাতদন্ত করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে রিহ্যাব সেন্টারের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, মাদকাসক্ত

রোগীটিকে গত ৫ মাস আগে আমাদের রিহ্যাব সেন্টারে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর থেকে এ রোগীর আর কোন স্বজন তাকে দেখতে আসেনি। এমনকি রোগীর অসুস্থতার কথা তাদেরকে জানালেও কখনো কেউ তাকে দেখতে আসেনি।