অভিযোগ ডেস্ক : ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল হক ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের সদস্য। আর জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক।
সম্প্রতি ত্রাণ বিতরণ নিয়ে পৌরমেয়র আব্দুস সাত্তার মিলনের ওপর হামলা চালায় তারা। হামলা, চাঁদাবাজি, মাদকসেবনসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের ছাড়াও অতীতে যুবলীগে তাদের নামে একাধিক অভিযোগও করা হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আসাদুল ও জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত। এছাড়া চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু অভিযোগ এনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা যুবলীগের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
তাদের দু’জনেরই বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলায়। হিলি ও ঘোড়াঘাট থেকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দুই জনকেই রংপুর র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অপরদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাসার নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশকেও আটক করা হয়। তার বাড়িও ঘোড়াঘাট উপজেলায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসাদুলের বাবা একজন জুতার দোকানি। তবে আসাদুল ওসমানপুরে সিএনজি অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করতো। হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র্যাব রংপুরের একটি দল যৌথভাবে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাত ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল হককে আটক করে।
এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নিরুপ সাহা জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে জেলা যুবলীগের কাছে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি।
আসাদুলকে গ্রেপ্তার করা একই টিম জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম।
জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোড়াঘাট যুবলীগের আহ্বায়ক, এই কথা স্বীকার করেছেন দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ। তিনি জানান, যুবলীগের নির্বাচনের সময় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা।
পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা।
এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা।
পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। ওয়াহিদা খানম বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
অস্ত্রোপচার সফল হলেও ইউএনও ওয়াহিদা আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.