২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঝালকাঠিতে ২০বছর আগের মৃত ব্যক্তির কাপনের কাপড় ও দেহ অক্ষত অবস্থায় স্থানান্তরের জন্য উদ্ধা

প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১, ২০২০
ঝালকাঠিতে ২০বছর আগের মৃত ব্যক্তির কাপনের কাপড় ও দেহ অক্ষত অবস্থায় স্থানান্তরের জন্য উদ্ধা

Sharing is caring!

ঝালকাঠিতে ২০বছর আগের মৃত ব্যক্তির কাপনের কাপড় ও দেহ অক্ষত অবস্থায় স্থানান্তরের জন্য উদ্ধার

 

 

সৈয়দ রুবেল , ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি:

 

 

ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চরকাঠি গ্রামের  মোঃ মুজাফফর আলী হাওলাদার (৭৫) নামে ২১ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ  করেছিলেন ।

 

 

০১/০৯/২০২০ইং তরিখ মঙ্গলবার  সকাল ১০ ঘটিকার সময় ২০বছর আগের মৃত মোঃ মুজাফফর আলী হাওলাদার (৭৫) নামে ব্যক্তির কাপনের কাপড় ও দেহ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনরা।

 

দীর্গ ২১ বছর পরে নদী ভাঙ্গনে আশেপাশের এলাকা বিলীন হয়ে গেলেও মৃত্যু মোঃ মুজাফফর আলীর  কবর স্থানটি  পানির মধ্যে অক্ষত অবস্থায় দাড়িয়ে থাকে।

 

মৃত্যু ব্যক্তির স্বজনরা কবরটি স্থানান্তরের জন্য খুরলে কাফনের কাপড় ও দেহ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হলে এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

 

 

মঙ্গলবার সকালে এখবর ছড়িয়ে পরলে অলৌকিক এ ঘটনায় লাশটি এক পলক দেখার জন্য দিনভর স্থানীয় এলাকাবাসীসহ শহর থেকে হাজারো মানুষের ঢল নামে।

 

 

স্থানীয় ও স্বজনরা জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার চরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যু মোঃ মুজাফফর আলী হাওলাদার নামে এ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিগত ২০০০ইং সালে বার্ধক্য জনিত কারনে ৭৫ বছর বয়সে তিনি মারা যায়। মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করলেও নদী ভাঙ্গনের কারনে পরিবারের সদস্যরা বৈদারাপুর গ্রামে নতুন বসত বাড়ী স্থাপন করে বসবাস শুরু করে।

 

সুগন্ধা-বীষখালী নদীর মোহনায় চরকাঠি গ্রামটি নদী ভাঙ্গনে ক্রমেই নদীগর্ভে বিলিন হতে থাকে। গত কয়েক দিনে এ কবরের আশেপাশের এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হলেও মৃত মুজাফফর আলী হাওলাদারের কবরটি অক্ষত অবস্থায় পানির মধ্যে দাড়িয়ে থাকায় মঙ্গলবার সকালে স্বজনরা তার কবরটি স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়।

 

 

এ সময় মুজাফফর আলী হাওলাদারের কবর খুড়লে তার মৃত দেহসহ দাফনের কাপড় পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

 

পরে স্বজনরা তার মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসলে এ সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র মরহেদ কিছুটি শুকিয়ে গেলেও কোন প্রকার পচন ধরেনি বাকোন দূর্গন্ধও  হয়নি।

 

পরে মঙ্গলবার আসরবাদ পুনরায় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক নতুন কবর স্থানে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন সম্পন্ন করা হয়।