২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভোলায় দাখিল মাদরাসায় অবৈধ নিয়োগের গোপন তথ্য ফাঁস।

প্রকাশিত আগস্ট ২৪, ২০২০
ভোলায়  দাখিল মাদরাসায়   অবৈধ নিয়োগের গোপন তথ্য ফাঁস।

Sharing is caring!

ভোলায়  দাখিল মাদরাসায়

অবৈধ নিয়োগের গোপন তথ্য ফাঁস।

 

ভোলা জেলা প্রতিনিধি।।

 

শিক্ষিত বেকাররা যখন নানাভাবে প্রতারিত, চাকরি নামের সোনার হরিণ যখন তাদের নাগালের বাইরে ঠিক তখন ভোলার একটি মাদরাসার সুপার নিজেই তার পুত্রকে চাকরি দেয়ার জন্য অ-দৃশ্যমান একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্থানীয় মহলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন।

 

জানাযায়,ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জেরহাট দাখিল মাদরাসার ৩টি পদের জন্য ১৭ আগষ্ট একটি জাতীয় দৈনিক ও একটি স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

 

পদ তিনটি হলো, ১.গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ২.নিরাপত্তা প্রহরী ৩. আয়া।

 

এখানে কৌশলগতভাবে বিজ্ঞাপনটিতে পদ উল্লেখ

করা হলেও পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, কি কি কাগজপত্র লাগবে,কতো তারিখের মধ্যে আবেদন করবে এবং কার বরাবরে আবেদন করবে তা উল্লেখ করা হয়নি।এছাড়া বিজ্ঞাপনটি সিঙ্গেল কলামে ছোট করে শিরোনামবিহীন ছাপা হয়। যা অ-দৃশ্যমান হিসেবে প্রকাশিত।অভিযোগ রয়েছে, সেদিন এ পত্রিকাটি স্থানীয় এলাকায় পাওয়া যায়নি।

 

এদিকে অনুসন্ধানে জানাযায়,মাদরাসার সুপার আবুল হাসেম তার  পুত্রকে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত নানা ফন্দিফিকির চালাচ্ছে।তার পুত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। এ মিশনকে সফল করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে মোটা অংকের অর্থে গোপন দফারফা করেছেন।যা মাদরাসার শিক্ষক ও স্থানীয় মহলে আলোচিত।ইন্টারভিউ বোর্ডে যাতে সংশ্লিষ্ট বোর্ড ম্যানেজকৃত ব্যক্তিসহ পচ্ছন্দের সদস্যরা থাকেন সেই তৎপরতায় রয়েছেন মাদরাসার সুপার।

 

অপর এক সুত্র জানায়,বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় সুপারের পুত্র জামাত-শিবিরের পক্ষে ভোলার বোরহানউদ্দিনের মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকানো ও আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িত।সেই সময় পুত্রের ঘটনায় সুপার নিজেই থানায় আটক হয়ে মুচলেকায় ছাড়া পান।

 

নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য মাদরাসার সুপার আবুল হাসেমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সচেতন মহল মনে করছেন, স্বনামধন্য একটি মাদরাসার উল্লিখিত পদসমূহে নিয়োগের ক্ষেত্রে উক্ত গোপন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে পুনরায় জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হোক।

 

চাকরির বিধিমালা অনুযায়ী যোগ্য ব্যক্তিরা স্বচ্ছ নিয়োগের মাধ্যমে মাদরাসার উল্লেখিত পদে নিয়োগ হোক, কোন ঘুষ বাণিজ্যে নয়। সরকার চাকরিতে নিয়োদের ক্ষেত্রে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিগনও স্বচ্ছ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।মাদরাসার শুভাকাংখীরাও তেমনটি চান।