Sharing is caring!
মোঃ বাবলু মিয়া,বিশেষ প্রতিনিধিঃ–
ঝিনাইদহ জেলার কোটঁচাদপুর উপজেলার ৩নং কুশনা ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতার সরকারী অনুদানের টাকা আত্বসাত করার অভিযোগ উঠেছে।৫ নং ওয়ার্ড সদস্য বদিউজ্জামান বিরুদ্ধে এসব অনুদানের টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগ করেছেন অনুদানের কার্ডধারী সদস্যরা।
এ টাকার মধ্যে অনুদান প্রাপ্ত তালিকা থেকে ৪,৫নংওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশদের টাকা না দেয়ার তথ্য ও প্রমাণ সি এন বাংলা টিভির প্রতিবেদক এর হাতে এসেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বয়স্ক মানুষদের সরকার মাসিক ৫০০ টাকা হারে বছরে ৬ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে থাকেন। ৫ নং ওয়ার্ডের রোহিত কমল দাস বলেন, আমার নামে বয়স্ক ভাতা নতুন কার্ড করা হয়েছে। অথচ আমাকে মাত্র ২০০ টাকা দেয়া হয়েছে। বাকী টাকা মেম্বার দেয়নি। তাদের নাকি কাগজপত্র করতে টাকা খরচ হয়েছে।
বয়স্ক ভাতার কার্ড থাকার পরও চলতি বছরের জন্য কোন টাকা পাননি গঙ্গা রানী। তিনি বলেন, মেম্বার ৬ হাজার টাকা দিবে বললেও পরে দেয়নি। সারাদিন ইউনিয়ন পরিষদে বসিয়ে রাখার পর আগের বছরের ১৫০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দেন।
সুর্য কান্তি দাস বলেন, আমার নামে এবার নতুন কার্ড হয়েছে আমি কোন টাকা পাইনি। শুধু বইটা বাড়িতে এসে দিয়ে গেছে আমার নাতির কাছে। এ প্রসঙ্গে সুর্য কান্তির নাতি বলেন, ওয়ার্ডের সদস্য বদিউজ্জামান বই দিলেও টাকা দেননি। টাকা চাইলে তিনি বলেন এবছর অফিসারদের টাকা দিতে হবে। আগামী বছর থেকে টাকা পাবা।
হাজারী দাসের নামেও নতুন বয়স্ক ভাতার কার্ড থাকলেও কোন টাকা পায়নি তিনি। অথচ ওনার নামে সরকারী ফান্ডের টাকা তোলা হয়েছে বলে সরকারী ফাইলে উল্লেখ রয়েছে। টিপ সহি এর ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন মেম্বার নিজেই জালিয়াতি করে টিপসহি দিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে।
ভোলানাথ দাস বলেন, আমারও এবছর নতুন কার্ড হলেও একটাকাও পায়নি। আমার টাকা কারা নিয়েছে তা আমি জানি না। যারা টাকা দিয়েছে তারাই নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।মোঃশাহাআলম পিতা আনোয়ার হোসেন বলেন আমি একজন প্রতিবন্ধ দিনমজুর।আমার নামে প্রতিবন্ধ ভাতার কার্ড হলেও একটাকাও পায়নি কিন্তুু আমার বইয়ে ৯০০০/টাকা তুলে নিয়েছে মেম্বার বদিউজ্জামান (বদি)
এছাড়াও শ্রীমতি রায়বালা,স্বামী মৃত কাঠিরাম দাস,শ্রী কিনারাম দাস, পিতা কুশোল দাস,মোঃআবুবক্কর পিতা মৃত আকবর আলী মন্ডল,আজিবর মন্ডল পিতা মৃত আফসার মন্ডল,আব্দুর সাত্তার পিতা মৃত আফসার মন্ডল,আঃহালিম (ভিকে)সহ ভাতার টাকা না পাওয়ার এমন অভিযোগ অনেকেই করেছেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে ৩নং কুশনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান এর কাছে সি এন বাংলা টিভির। প্রতিবেদক জানতে চেয়ে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন,আমি কিছু জানি না তবে অপরাধ যেই করুক তাকে শ্বাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমি একটু ব্যাস্ত আছি পরে কথা বলছি।
এ প্রসঙ্গে ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বদিউজ্জামান (বদি) সি এন বাংলা টিভির প্রতিবেদক কে বলেন, আমি সবাইকে তাদের প্রাপ্য টাকা দিয়েছি। সামনে নির্বাচন আসছে আমার জনপ্রিয়তায় ইর্শ্বান্বিত হয়ে আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে।পরে সাংবাদিক দের প্রশ্নের মুখে পরে তিনি স্বিকার করেন যে আমার ভুল হয়েছে আমি জীবনেও এমন ভুল করবো না।পরে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন আপনিএই সকল ভাতার কার্ড করতে কোথায় খরজ হয়েছে।তিনি বলেন আমাকে সমাজ সেবা অফিসার এর বই প্রতি তিন হাজার করে টাকা দিতে হয়েছে এছাড়াও ব্যাংকে একাউন্ট করতে কিছু টাকা দিতে হয়েছে।যাই হোক আপনারা কাওকে কিছু বলেন না আমি সকলের টাকা ফেরত দিয়ে দিব।এবং আপনাদেরকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য কিছু খুশি করে দেব।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কোটচাঁদপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জহুরুল ইসলাম টাকা নেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন।টাকা আমরা নেব কি করে আমাদের সাথে টাকা পয়সার বিষয়ে কোন কথা হয় না।আমরা সরকারি এবং চেয়ারম্যান মেম্বারদের চাকর।সবকিছু তাড়াই করেন আমরা শুধু বইটা কম্পিলিট করে ব্যাংকে পৌছে দেয়।আমরা ব্যাংকে নোটিস করেছি ব্যাক্তি ছাড়া কাওকে টাকা দিবেন না।যদি ব্যক্তি ছাড়া কারো কাছে টাকা দেয় সেই ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তা দায়ী থাকবে।পরে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অসিসার এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা সরকারি টাকা জনগনের অধিকার এইটাকা নিয়ে কেও যদি কোন তালবাহানা করেন।তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।কেও যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।আর এইটাকা ব্যাংক থেকে সরাসরি যার নামে বই সেই টাকাটা তুলতে পারবে।যদি এর বাইরে কিছু হয় তবে ব্যাংক কর্মকর্তা দায়ী থাকবে।পরে কোটচাঁদপুর পৌষ্ট অফিস সংলঙ্গ জনতা ব্যাংক ম্যানেজার মোঃরওশান আলী সিঃ প্রিঃ অফিসার।বলেন সরকারি আইনে এই টাকা সরাসরি যার বই তিনিই তুলতে পারবেন। কিন্তুু টাকা যদি অন্য কারো কাছে দেয় সেটা আইনগত ভাবে কোন বিধান নাই এটা আমাদের ভুল হয়েছে।