১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে পশুর হাঠে পশু বেশি, নেই ক্রেতাদের দেখা

admin
প্রকাশিত জুলাই ২৬, ২০২০
সুনামগঞ্জে পশুর হাঠে পশু বেশি, নেই ক্রেতাদের দেখা

Sharing is caring!

সোহেল মিয়া,স্টাফ রিপোর্টার :: আসছে ১ আগষ্ট ঈদ-উল-আযহা,কুরবানীর ঈদ বাকি মাত্র ৫ দিন ।

 

করোনার মহামারিতে কর্মস্থল বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটে অনেকেই ,যারকারনে
সুনামগঞ্জ জেলার, দোয়ারা বাজার উপজেলায় এখনও জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট।

 

দেখাগেছে হাটে কুরবানীর পশুর তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। করোনা মহামারির সাথে বন্যা সবমিলিয়ে আর্থিক সংকট থাকায়
এবার পশুর হাঁট খুব মান্দা।

 

দোয়ারা বাজার উপজেলার সবচাইতে বড় পশুর হাঠ,নরসিংপুর ইউনিয়নের বালিউড়া বাজার পশুর হাট সহ ছোট-বড় কয়েকটি হাটে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় একদম যেন নেই বললেই চলে।

 

সরেজমিনে জানাযায়:

দোয়ারা বাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের,
বালিউড়া বাজারে সব সময় পশুর হাঁট জমজমাট দেখাযায় । এমনকি কুরবানী ঈদ আসলে হাটের কোথাও দাড়ানোর জায়গা টুকু ও থাকে না।

 

জানাযায়, ঈদের আগে মাইক দিয়ে পুরো এলাকাবাসীকে কুরবানীর হাঁট সম্পর্কে আহবান করা হয়,অন্য বছর কুরবানীতে হাটে পশু না নিয়ে আসলে ও গ্রামে বাড়ি গিয়ে ও কিনতে দেখাযেত হাজার পশু,কিন্তু এবছর আর এমনটা নেই,

অন্যদিকে এবছর করোনা তাঁর সাথে ধাপে ধাপে বন্যার কারনে বাজারে প্রচুর পরিমাণ পশু দেখা গেলে ও ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অনেকেই দিতে পারছেনা কুরবানী । আর্থিক সংকটে অর্থাভাবে একক কুরবানী সহ যৌথ কুরবানীর সংখ্যা ও কম হবে।

 

সাক্ষাৎতে: নরসিংপুরের পূর্বচাইর গাঁও গ্রামের মমিন মিয়া বলেন, ২টি ষাঁড় নিয়ে ১৫ দিন দরে ঘুড়তেছি,কিন্তু পাচ্ছিনা ন্যার্য্য মূল্য,এবার বাড়িতে আসছেনা পশু ব্যাবসায়ীরা,যার কারনে বিক্রয় করা সম্ভব হচ্ছেনা না,আমরা পশু পালনকরি দুটাকা পাওয়ার জন্য,

 

টুকটাক ক্রেতারা গরুর যে দাম বলেন,তাতে নিজে পাওয়ারতো দূরের কথা,ক্রয় মূল্য অনেক বেশি ।

 

অন্যদিকে পূর্বচাইর গাঁও গ্রামের উত্তরপাড়ার ইসমাঈল মিয়া বলেন, বাজারে ক্রেতা নেই, গরু অনেক বেশি, যার কারনে অচল হয়ে পড়েছে বিক্রয় ব্যবস্থা,এ বছর করোনা আর বন্যায় গরুপালন কারিদের মাথায় হাত। করোনা আর বন্যার কারনে হাটের অবস্থা খুবই খারাপ।