Sharing is caring!
আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ-
টানা কয়েকদিনের বৈরী আবহওয়ার কারনে সাগরে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়েছে পতেঙ্গার সমুদ্র পাড়ে শহর রক্ষায় জন্য নির্মাণাধীন ‘উপকূলীয় বাঁধ কাম আউটার রিং রোডে’র একটি অংশ।
পতেঙ্গ সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন এই বাঁধটির খেজুরতলার একটি অংশ আজ রবিএ (১৪ জুলাই) সকালে দেবে যায়। এতে করে কাজের মান দিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত নির্মিত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড়ের পতেঙ্গা অংশে ওয়াকওয়ের ব্লক সরে গিয়ে দেবে গেছে। বাঁধের ব্লক সরে মাটি তলিয়ে যাওয়া সিসি ঢালাইয়ে তৈরি ওয়াকওয়েটি ধসে পড়েছে। এ অবস্থায় ওই অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, সাগরের পাশ দিয়ে নির্মিত এই ওয়াকওয়েটি রড দিয়ে কংক্রিট (আরসিসি) ঢালাই না দিয়ে সিসি ঢালাই দিয়ে করা হয়েছে। ওয়াকওয়ে তৈরির জন্য সাগরের বালি দিয়ে জায়গাটি ভরাট করা হয় এতে করে অল্প সময়ের মধ্যেই এটি ধসে পড়ে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান, ঢেউয়ের কারণে মাটি সরে যাওয়ায় ওয়াকওয়ে ধসে পড়েছে। সেগুলো সরানো হচ্ছে। পাশাপাশি ধসে পড়া স্থানগুলো পুন:নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
বিষয়টি ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে অনেকে সিডিএর আলোচিত এ প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
নগরবাসীর এমন সমালোচনার মুখে দুপুরে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন সিডিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সেখান থেকে মানুষজনকে সরিয়ে দিয়ে ওয়াকওয়েটি সংস্কারের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।
উল্লেখ্য, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)২০০৫ সাল থেকে পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। যাচাই শেষে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে জাইকা। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে চার লেনের এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আড়াই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮৬৫ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দুই বার সংশোধনের পর বর্তমানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭২০ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ও জাইকার সহায়তা ৭০৬ কোটি টাকা।