Sharing is caring!
অপূর্ব রবিন : বর্তমান বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বব্যাপি বিরাজমান মহমারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সব এলাকাকে লকডাউন ঘোষনা করায় মানুষ কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে আছে।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কেউ যেন খাবারে কষ্ট না পায় সেজন্য সরকার এর পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।
সরকারের অনুদানের সমন্বয় ঘটিয়ে, প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহায়তায় মানুষের দোড় গোড়ায় পৌছে দেওয়া হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। এরই ধারাবাহিকতায়, দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে সরকার থেকে প্রাপ্ত এান বিতরণ ও মোবাইলে ২৫ শ টাকার লিষ্ট নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে, বলে দাবি করলেন এলাকার একাধীক কর্মহীন মানুষ।
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রেজাউল হক নান্টু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সরকারী ত্রাণ, মোবাইলে ২৫ শ টাকা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, প্রতিবন্ধী কার্ডসহ সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইউনিয়নটির ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
প্রতিবাদ সমাবেশে ভুক্তভোগীরা নিজেদের অভিযোগ ও সরকারী অনুদান প্রদানে নানা অনিয়ম তুলে ধরে জানান, ইনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রেজাউল হক নান্টু ও চৌকিদার মহাসিন আলী সরকারী ত্রাণ, মোবাইলে ২৫ শ টাকা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, প্রতিবন্ধী কার্ড, সহ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় অনুদানের সুযোগ করে দিতে সংশ্লিষ্ট হতদরিদ্রদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়েছে।
এছাড়া অর্থের বিনিময়ে নিয়মবহির্ভুত ভাবে এই জনপ্রতিনিধিরা বেশকিছু পরিচিত বিত্ত্ববানদের এ সুযোগ করে দিয়েছেন।
এদিকে ইউনিয়নটির মেম্বার রেজাউল হক নান্টু তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কথা অস্বিকার করে বলেন, যারা এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে তারা নিজেদের কিছু লোকেদের নামে মাতৃত্বকালীন কার্ড ইসু করাতে চেয়েছিলো।
তবে নিয়ম মেনে কার্ড ইসু হওয়ায়, তাদের দেয়া লিস্টের মানুষগুলোর নামে কার্ড ইস্যু না হওয়ায় তারা এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে।