ওবায়েদ শাকিল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃ
মেঘনার ভাঙ্গনে দিশেহারা চরাঞ্চলের মানুষ। যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি গ্রামবাসীর।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের দেড় কিলোমিটার চর পর্যায়ক্রমে মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রায় কয়েক বছর যাবৎ ভাঙনের ফলে ইতিমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে চরের পূর্ব দিকের বিরাট অংশ। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড সঞ্চালন লাইন। বর্ষা এলেই প্রতিবছর শুরু হয় ভাঙনের এই ভয়াবহ রূপ।
জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে আশুগঞ্জে মেঘনার বুকে জেগে উঠা চরটি চরসোনারামপুর গ্রাম নামকরণ করা হয়। এটি আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড। পাঁচ শতাধিক পরিবারের তিন হাজারের বেশি মানুষ বাস করেন এই চরে। সরজমিনে দেখা যায়, চরের পূর্ব দিকের বিরাট অংশ মেঘনার গর্ভে চলে গেছে। ঢেউয়ের আঘাতে পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দিকের অংশ প্রতিনিয়তই ভাঙছে। চরের মাঝখানে আশুগঞ্জের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি বড় টাওয়ারও রয়েছে। এটি আশুগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের লাইন। এই গ্রিড লাইনের গা ঘেঁষে বয়ে গেছে নদী।
চর বাসীরা জানান, কয়েক বছর আগে অপরিকল্পিতভাবে ওই এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হয়। এরপর শুরু হয় ভাঙন। ইতি মধ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার চলে গেছে নদীর পেটে। চারদিক থেকে ছোট হয়ে আসছে চরটি। এ বছর যেভাবে ভাঙা শুরু হয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে গ্রামটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গৌড় পদ সূত্রধর জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আশুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নাজিমুল হায়দার বলেন, আমি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড অতি শ্রীঘ্রই বালি ভরা বস্তা ফেলে নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করবে।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.