২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আবারও তলিয়ে গেছে নগরীর নিম্নাঞ্চল

admin
প্রকাশিত জুলাই ১২, ২০১৯
আবারও তলিয়ে গেছে নগরীর নিম্নাঞ্চল

Sharing is caring!

 

আব্দুল করিম, চট্টগ্রামঃ

টানা বৃষ্টিতে জলজটের ভোগান্তি থেকে রেহাই মিলছে না নগরবাসীর। গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও তলিয়ে গেছে নগরীর নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে অক্সিজেন মোড়ে কাটছে না জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ। এ কারণে সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি বাদে উত্তর চট্টগ্রামের তিন উপজেলার লোকজনকেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নগরীতে গতকাল সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিতে হালিশহর কে ব্লক, আগ্রাবাদ সিডিএ, গোসাইলডাঙ্গা, শোলকবহর, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, দামপাড়া, বাকলিয়া ও চান্দগাঁওর নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার বাসিন্দা মো. মিজান বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে সিডিএতে জোয়ারের পানি ঢুকছে। চলতি বছর কিছু রাস্তা উঁচু করা হলেও, বেশিরভাগ জায়গা নিচু হওয়ায় জোয়ারের সময় পানি ঢুকে যায়।’ এদিকে অক্সিজেন মোড়ে পুরো বাসস্টেশনটি তলিয়ে যাওয়ার কারণে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িগামী লোকজনকে হাঁটুপানি ডিঙিয়ে বাস ধরতে হয়েছে। একইভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলার যাত্রীদের।
নজরুল ইসলাম নামে রাঙামাটিগামী এক বাসযাত্রী বলেন, ‘রাঙামাটিতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যেতে হচ্ছে। এমনিতে বৃষ্টি, তার ওপর অক্সিজেন মোড়ে হাঁটু পানির কারণে পরনের কাপড়-চোপড় সব ভিজে গেছে। আমার মত অবস্থা সকলের।’
পোশাক কারখানার কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় পানি উঠলে কিছু সময় পরে নেমে যায়। কিন্তু অক্সিজেন মোড়ের পানি নামতে অনেক সময় নেয়। এতে শুধু যাত্রীরা নয়, স্থানীয়দেরও দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা উজ্জ্বল কান্তি পাল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া জেলার সীতাকুণ্ডে সর্বোচ্চ ২১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।