Sharing is caring!
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলায় গলাকাটা গুজব আতন্কে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিভাবকরা। ভোলার প্রতিটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে পৌরশহর পর্যন্ত সর্বত্র গলাকাটা এসেছে, শিশুদের গলাকেটে নিচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শমূলক ম্যাসেজ মোবাইল থেকে মোবাইলে পাঠিয়ে একটি বিশেষ চক্র এমন গুজব ছড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
গুজব এখন রীতিমত আতঙ্কে পরিনত হয়েছে। ভয়-আতঙ্কে শিশুরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে শনিবার থেকে উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি অপ্রত্যাশিত রকম কমে গেছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা জানান, শুক্রবার থেকে গুজবটি ছড়াতে শুরু করে। মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দিয়ে একটি চক্র সাধারন মানুষের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গুজবটি ছড়িয়ে দেয়। শনিবার থেকে গুজব ভয়াবহ আতঙ্কে পরিনত হয়।
কেবল শিশু নয়, বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরাও। আতঙ্কে অভিভাবকরা শিশুদের ঘরবন্দি করে রেখেছেন। অনেকে অভিভাবক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, থানা পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে আসল ঘটনা জানতে চেয়েছেন। প্রতিটি উপজেলা এবং গ্রাম অঞ্চল গুলোতে সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রে ছিল এই গুজব গলা কাটার বিষয়টি।
চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, এটা গুজব। মানুষের অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই গুজব ব্যাপক ডাল-পালা ছড়িয়েছে। কারা কোন উদ্দেশ্যে এমন গুজব ছড়িয়েছে তা বুঝা মুশকিল। তবে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সকলকে গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ সামসুল আরেফিন জানান, দিনভর সাধারণ মানুষ থানায় ফোন দিয়ে আসল ঘটনা কি-জানতে চেয়েছেন। মোবাইল থেকে মোবাইলে ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ পাঠিয়ে গুজবটি ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে। এই গুজব ছড়ানোর নেপথ্যে কারা তাদের খুঁজে বের করতে সন্ধ্যার পর পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামবে। গলাকাটা আসার বিষয়টি গুজব। যার কোন সত্যতা নেই বলে জনগনের মধ্যে প্রচারণা চালাবেন। পাশাপাশি এই গুজবের নেপথ্যে কারিগরদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।