Sharing is caring!
আল আমিনঃ জলাবদ্ধতাভারি বৃষ্টি ও জোয়ারে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বাসিন্দারা। পাশাপাশি ফ্লাইওভারগুলোতে জমে আছে বৃষ্টির পানি।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গত রোববার থেকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে বেশির ভাগ মানুষ। সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, টানা বৃষ্টিতে দামপাড়ায় চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান কার্যালয়ের নিচতলায় হাঁটু পানি উঠে গেছে। ফলে নিচতলায় অবস্থিত কার্যালয়গুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওয়াসা ভবনে প্রবেশ ও বের হতে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ওয়াসার উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, নিচতলায় পানি উঠে যাওয়ার ব্যাংকসহ সব অফিসে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাম্প বসিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।
অপরদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে একটানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় পড়েছে আগ্রাবাদ, হালিশহর, বহদ্দারহাট, ষোলশহর, মুরাদপুর ও বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দারা। সাগর উত্তাল ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে নগরীর আগ্রাবাদসহ কয়েকটি এলাকার পানি সরছেই না। জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার মানুষ।
নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা নূরজাহান বেগম জানান, তাঁর ঘরের ভেতরে পানি ঢুকেছে। এতে খাটের ওপর বসে ঘরের সবাইকে রাত কাটাতে হয়েছে। রান্নাবান্না করতে না পারায় শুকনো খাবার খেয়ে রোজা রেখেছে পরিবারের সবাই।
নগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া জানান, হাঁটু পানিতে ভিজে নগরীর জিইসি মোড়ে চিকিৎসক দেখাতে এসেছেন তিনি।
নগরীর সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক সোহেল বলেন, আগ্রাবাদ এলাকায় রাস্তার ওপর পানি উঠেছে। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি গর্তে পড়ে তাঁর অটোরিকশা নষ্ট হয়ে গেছে। পরে অনেক কষ্টে গর্ত থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে মিস্ত্রির কাছে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কায় জেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূ্র্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে। রেড ক্রিসেন্ট নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে। মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।