Sharing is caring!
জাহিদুল ইসলাম, গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ করতোয়া নদীর উপর কাটাখালী ব্রীজ নির্মান প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতার কারণে কালের প্রলয়ঙ্ককারী প্রমত্তা করতোয় আজ মানুষ মারার কচুরিপানার স্তুবে পরিণত হয়েছে। উৎসুক জনতা ওই কচুরিপানার উপর দিয়ে চলাচল করতে দেখে এক নারী কচুরিপানার স্তুবে পড়ে যায়। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে ওই স্তুব থেকে উদ্ধার করে উপরে নিয়ে আসে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী নদীর উপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ফোরলেন রাস্তা নির্মাণ হওয়ার অংশ হিসেবে কাটাখালী ব্রীজের পাশে নতুন করে আরো একটি ব্রীজের কাজ চলছে। ওই ব্রীজের কাজ চলায় প্রবাহমান নদীর স্রোতের গতি কমে নিয়ে আসার জন্য ব্রীজের নিচে নতুন ব্রীজের কাজ করার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে নদীর উপর নির্মানধিণ ব্রীজের পশ্চিম অংশে বিশাল এলাকাজুড়ে কচুরিপানার স্তুব জমাট বেঁধেছে। ওই স্তুবের নিচ দিয়ে নদীর চলমান স্রোত অব্যাহত থাকলেও কচুরিপানার উপর দিয়ে স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি দুরদুরান্ত থেকে আগত উৎসুক জনতা পায়ে হেটে ও বাইসাইকেল নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। এতে যে কোনো সময় মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ওই এলাকার ইউ’পি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক বলেন, করতোয়া নদীর উপর কাটাখালী ব্রীজের সাথে নতুন করে একটি ব্রীজ নির্মাণ হচ্ছে। এ ব্রীজের দায়িত্বরত যে লোকজন রয়েছেন তাদের অজ্ঞতার কারণে নদীর উপর ড্রামের রাস্তা তৈরী করে প্রতিবন্ধতা তৈরী করায় কচুরিপানার স্তুব এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রতন শর্মা বলেন, কচুরিপানার বিশাল স্তুবের নিচ দিয়ে নদীর পানির প্রবল স্রোত অব্যাহত থাকলেও মানুষ অজ্ঞতার কারণে স্তুবের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। যত দুরত্ব সম্ভব পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ব্রীজ নির্মানীধিন প্রতিষ্ঠানকে চ্যানেল খুড়ে প্রানির স্বাভাবিক স্রোত চলাচলের ব্যবস্থা নিতে হবে।গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের করার কিছুই নেই। নির্মাণীধিন ব্রীজের প্রজেক্ট ম্যানেজার এসব দেখবেন।