৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

আকুয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী নাবালিকা স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় কাজল গ্রেফতার

admin
প্রকাশিত জুলাই ৫, ২০১৯
আকুয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী নাবালিকা স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় কাজল গ্রেফতার

Sharing is caring!

পুনম শাহরীয়ার ঋতু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ আকুয়া দক্ষিনপাড়া এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী চাদাঁবাজ ও জোর করে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণকারী মাদক ব্যবসায়ী কাজল রেপিড একস্যান ব্যটালিয়ান ১৪ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে যানাযায়  গত ৩রা জুলাই ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া এলাকায়  ধর্ষিত নাবালিকার বাসায় ইলেকট্রনিক মিস্ত্রির কাজের কথা বলে বাসায় প্রবেশ করে  পরে বাড়ি ফাকা থাকায় ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া এক নাবালিকা মেয়ে কে কাজল ও কাওছার নামে দুই সন্ত্রাসী জোর পূর্বক ঐ মেয়ে কে ধর্ষণ করে। সেই সময় ঐ মেয়ে একাই বাসায় ছিলো এবং ধর্ষন চলা কালে আবার সেটা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। নাবালিকা মেয়েটি তার বোন আার বোন জামাইয়ের সাথেই থাকতো।সেই সময় তার বোন আর বোন জামাই বাসায় ছিলোনা বলে এই ফাঁকে নাবালিকা কে একা পেয়ে দুইজন মিলে ধর্ষণ করে।
পরে এই ভিডিও দেখিয়ে নাবালিকার পরিবারের কাছ থেকে ৫ লক্ষ  টাকা চাঁদা দাবী করে। বৃহস্পতিবার সকালে নাবালিকা মেয়েটি রেপিড একস্যান ব্যটালিয়ান _১৪  এর কার্যলয়ে অভিযোগ দিলে সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোঃ তফিকুল আলম নেত্রিত্বে এক অভিযান চালানো হয়।আকিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী কাজল কে আটক করা হয়।
আটক কৃত সন্ত্রাসী আকুয়া ূদক্ষিনপাড়া (উলঙ্গপাড়া) মৃত আবু হানিফের ছেলে।তার নামে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ আছে।
সূত্রআরো যানান ঐ নাবালিকা মেয়ে কে ধর্ষণ করার পর কাওকে না জানাতে বলেন। জানালে মেরে ফেলার হুুমকি প্রদান করে।
শীর্ষ সন্ত্রাসী কাজল এর নামে আরো একাদিক মামলা রয়েছে।থানা সূত্রে যানাযায় কাজলের বিরুদ্ধে গত ১১ই মার্চ আকুয়া এলাকার এক বাসিন্দা জনাব মোঃ গোলাম মোস্তফা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজীর অভিযোগ করে ময়মনসিংহ মহানগরীর কতোয়ালী থানায় একটিমামলা করে। মামলা নং -৫৩(০৩)১৯। কাজলের বিরাট এক বাহিনী আছে। এই মামলায় গত ১০ই জুন কাজল গংরা জামিনে গিয়ে বাদী গোলাম মোস্তফার শশুর সালেহ ফুড প্রডাক্টস এ হামলা ও ভাংচুর করে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ কে জানালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এস আই আবুল কশেম।ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতের নির্দেশে তদন্ত শেষে ২৯০/১৯,তারিখ ২১/০৬/০১৯ ইং একটি প্রশিকিউশন দাখিল করে।
কাজল, সজল ও মালেক এই তিন ভাই আকুয়া দক্ষিনপাড়া এলাকায় বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ চাঁদাবাজি ঘটনায় জরিত।এদের দাপটে এলাকায় কেও মুখ খুলতে সাহস পায়না।
এর আগে ৩নং ফাঁড়ির পরিদর্শক মনিরুল ইসলামের সাথে মাসিক টাকার বিনিময়ে অবাধে মাদক ব্যবসা করায় দৈনিক আজকের বাংলাদেশ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম ঐ পরিদর্শককে ৩নং ফাঁড়ির ইনচার্জ পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেন।ময়মনসিংহ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিসেট্রট আদালতে মোঃ আবু তালেব বাদী হয়ে ৪৭৫/১৫একটি ১০৭/১১৭ ধারায় মামলা করে।কাজলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় তাকেও নানাভাবে হুুমকি প্রদান করে।
কাজল তার আপন চাচী জোবেদা বেগমের জায়গা দখলের জন্য ঘরে তালা মারলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর কোতোয়ালি থানার ওসি’র নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালাবদ্ধ ঘর খুলে দেয়।আজো জোবেদা বেগমে কাজলের ভয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে পালিয়ে থাকে।এবং কি কোন এক সময়  কাজলের মা মালেক বেগমের অত্যাচারে ও ভয়ে জোবেদা বেগম তার পিতৃালয়ে থাকে।
কাজলের পরিবারের অত্যাচারে তার চাচীও পরিবার ভয়ে নিজ বাড়ীতে আসতে সাহস পায়না। সন্ত্রাসী ও ধর্ষক কাজলের তৈরি সন্ত্রাসী বাহিনি দিয়ে সে আকুয়া দক্ষিনপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ও নাবালিকা নারী ধর্ষণের মতো ঘটনায় জড়িত। কাজলকে গ্রেফতারের সংবাদে আকুয়া দক্ষিনপাড়া এলাকাবাসীর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে।