২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষন ও ভিডিও ধারনের অভিযোগ

admin
প্রকাশিত জুলাই ৩, ২০১৯
ছাতকে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষন ও ভিডিও ধারনের অভিযোগ

Sharing is caring!

 

জামরুল ইসলাম রেজা ছাতক থেকেঃ-
ছাতকে ইউপি সদস্যসহ ৩ ব্যক্তি ৪ সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষন ও ধর্ষনের ভিডিও চিত্র ধারন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে তারা ওমান প্রবাসীর স্ত্রীকে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করে। ধর্ষিতার অভিযোগ, ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়া থানা-পুলিশ তার অভিযোগটি গ্রহন করেননি। মানুষের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে কোন সু-বিচার না পেয়ে ঘটনার প্রায় দু’সপ্তাহ পর আদালতের স্মরনাপন্ন হন ধর্ষিতা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ জুন রাতে ছাতক সদর ইউনিয়নের বড়বাড়ী-ধুপনীখলা গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ধর্ষিতা তার ৪ কন্যা সন্তানকে নিয়ে একই গ্রামের স্বামীর বসতঘরে বসবাস করে আসছেন। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ইউপি সদস্যসহ একই গ্রামের ৩ ব্যক্তি কখনো পৃথক হয়ে আবার কখনো একত্রে ওই গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি তার প্রবাসে থাকা স্বামীসহ ইউপি চেয়ারম্যান, মহিলা মেম্বার ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করেন ওই গ্রহবধূ। এতে গৃহবধূর প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে তারা। ঘটনার রাতে ওই গৃহবধূ ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজের ঘরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় তার বৃদ্ধ শশুর-শাশুড়ী ছাড়া অন্যকোন পুরুষ লোক বাড়িতে ছিলো না। এ সুযোগে ইউপি সদস্যসহ গ্রামের ৩ ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙ্গে ওই গৃহবধূকে ঝাপটে ধরে তাকে বিবস্ত্র করে এক-অন্যের সহায়তায় জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করেছে। এসময় ধর্ষনের ঘটনা তারা মোবাইলে ভিডিও চিত্রও ধারন করে নিয়ে যায়। ধর্ষনের ঘটনা প্রকাশ করা হলে ধারনকৃত ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে বলেও হুমকী দিয়ে যায় ধর্ষকরা। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষিতার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কৈতক হাসাপতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ২ জুন ধর্ষিতা বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ৯ জুন দায়েরী অভিযোগের খবর জানতে থানায় গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বিজ্ঞ ট্রাইবুনাল থেকে এ ব্যাপারে আদেশ নিয়ে আসার জন্য বাদীনিকে বলেন। এদিকে থানায় মামলা না নেয়ায় আসামীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীনিকে তার বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকী প্রদান করে। নিরুপায় হয়ে অবশেষে ১৬ জুন ধর্ষিতা বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক, বড়বাড়ী-ধপনীখলা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র ইমাম উদ্দিন ও একই গ্রামের আব্দুল কাইয়ূমের পুত্র রিপন মিয়াকে আসামী করে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা(নং-২৩৭/২০১৯) দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক জানান, বিষয়টি একটি পাবিবারিক মারামারির ঘটনা। এ নিয়ে তার কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছিল উভয় পক্ষ। ওই মহিলার পক্ষ অবলম্বন না করায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে একটি সাজানো ধর্ষনের ঘটনায় তাকে আসামী করা হয়েছে। ছাতক থানার ওসি(তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, ঘটনাটি সন্দেহজনক। ধর্ষিতার মেডিকেল রির্পোট পাওয়ার পর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।