পুনম শাহরীয়ার ঋতু: গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভায় গত সোমবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় সরজমিনে কালিয়াকৈর পৌর সভার সামনে গিয়ে দেখা গেছে, পৌর ভবনের মূল ফটকের তালা কলাপসিবল গেট বন্ধ রয়েছে। সামনে দাবি আদায়ের আন্দোলনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছে। আর সেবা প্রত্যাশিদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তারা পৌরবাসীর কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখও প্রকাশ করছেন। তাদের দাবি রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শত ভাগ বেতন-ভাতা প্রদানসহ পেনশন প্রথা চালুর দাবি এবং জন প্রতিনিধিদের সম্মানী ভাতা প্রদানের দাবিতে কালিয়াকৈর পৌরসভার মূল ফটকের সম্মূখে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যখন দাবি আদায়ের এ আন্দোলনে ব্যস্ত তখন স্থানীয় পৌর সেবা প্রত্যাশিরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এ সময় পৌরসভায় সেবা নিতে আসা জনসাধারণ পৌর ফটকে তালা দেখে ফিরে যাচ্ছে। এতে করে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ নিয়ে সমস্যায় পড়ে। পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আফসার হোসেন পৌরসভার ফটকে দাঁড়িয়ে প্রতিবেকদকে বলেন, নাগরিক সনদের জন্য এসেছিলাম। এসে দেখি পৌরসভার মূল ফটক বন্ধ রয়েছে। বছরে বছরে পৌরসভাকে টেক্স দিয়ে থাকি। কিন্তু তারপরও সেবার জন্য আসলে আমরা সাধারণ মানুষ তাদের আন্দোলনের কারণে কেন সেবা না নিয়ে ফিরে যাব? এ সময় পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানান ভূক্তভোগী আরও কয়েকজন সেবা প্রত্যাশী। এ ব্যাপারে পৌর সচিব নওশীন আহমেদ ও বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশন কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন জানান, পৌরবাসীদের সেবা তারাও করতে চান। তবে তাদের দাবি আদায় হলেই কেবল তারা কাজে ফিরে যাবে। দাবি আদায় না হলে সামনে তাদের এ আন্দোলন আরো কঠোর আকার ধারণ করবে বলেও জানান তারা। পরে সভায় বক্তব্য রাখেন পৌরসভার প্রকৌশলী হরিপদ রায়, বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশন কালিয়াকৈর পৌর ইউনিটের সভাপতি খন্দকার আনোয়ার মামুন, সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে তার কিছু বলার বা করার নেই। এটা সরকারের এবং পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের ব্যপার। স্থানীয়রা সেবা না নিয়ে ফিরে যাচ্ছে এটা দেখে জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন মেয়র হিসেবে খুব খারাপ লাগছে