আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা – ছবি : পিআইডি
অভিযোগ ডেস্ক : জনকল্যাণ মাথায় রেখে ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠান আপাতত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- উদযাপন করবো, কিন্তু ঝুঁকিতে ফেলে নয়।
সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
মুজিববর্ষের উদযাপন সংক্ষিপ্ত ও পুনর্বিন্যস্ত করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান স্থগিত হয়েছে। আমন্ত্রিত অতিথিরা নিজ দেশের পরিস্থিতির কারণে আসতে পারছেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ৩ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্তের পর বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বেশি লোকসমাগম হবে এমন অনুষ্ঠানগুলো পরে করা হবে। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেন কোনোভাবে সমস্যা না হয়, গতকাল পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উদযাপন করবো। কিন্তু ঝুঁকিতে ফেলে নয়। জনকল্যাণ মাথায় রেখে মূল অনুষ্ঠান আপাতত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষের উদযাপন বিশাল করে করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। করোনাভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ শিশুদের অনুষ্ঠানটিও বাতিল করেছি। অন্য অনুষ্ঠানগুলো করবো। ঢাকা ও টুঙ্গিপাড়া মিলে সংক্ষিপ্তভাবে ১৭ মার্চের অনুষ্ঠান করব। বড় অনুষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে হবে। জনসমাগম হয়, এমন অনুষ্ঠানগুলো আপাতত স্থগিত করেছি। পরবর্তী তারিখ ঠিক করে আমরা উদযাপন করব।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি আছে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে প্রস্তুতি আছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোতে ভিসা দেয়া বন্ধ থাকবে। দেশে প্রভাব যেন না পড়ে, এর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা টিভিগুলোতে প্রচার করাচ্ছি। মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা ঢাকার তিনটি হাসপাতাল ও জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রেখেছি।
তিনি বলেন, অহেতুক মাস্ক পরার দরকার নেই। কিন্তু সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অনেকেই পাগল হয়ে মাস্ক কিনছে। এটা করার দরকার নেই। শুধু যাদের সর্দি-কাশি আছে তাদের সাবধানে থাকতে হবে।