Sharing is caring!
ঢাকা অফিস :: তার আইডল ছিল হলিউডের নায়ক জেমস বন্ড। চালচলনে সে অনুসরণ করতো জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে। জেমস বন্ডের আদলেই নিজেকে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতো সে। তাই নিজের নামের পেছনে যুক্ত করেছিল বন্ড শব্দটি। একসময় জেমস বন্ডের মতো নয় দুর্ধর্ষ ত্রাস হিসেবে বরগুনায় পরিচিতি পায় নয়ন বন্ড।
নয়ন বন্ডের পুরো নাম সাব্বির আহম্মেদ নয়ন। জেসম বন্ডকে অনুকরণ করতে গিয়ে সে তার ডাকনাম নয়নের সাথে বন্ড যুক্ত করে হয়ে ওঠেছিল ‘নয়ন বন্ড’।
বরগুনার সবচেয়ে বড় ত্রাস গ্রুপ ছিল নয়নের। অপরাধ কর্মকান্ডের জন্য সে ফেসবুকে তৈরি করে একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ। নাম দেয় ‘নয়ন বন্ড গ্যাং ০০৭’। যে কোন অপরাধ করার আগে ম্যাসেঞ্জারেই গ্রুপের অন্যান্যের সাথে পরিকল্পনা করতো সে। এরপর যেত অ্যাকশনে।
সন্ত্রাস, মাদক চোরাকারবার, ছিনতাই, হত্যা, কুপিয়ে আহতসহ এমন কোন অপরাধ নেই যেটি করতো না এই নয়ন বন্ড বাহিনী। বরগুনা সরকারি কলেজের পিছনেই তার বাড়ি। কলেজকে কেন্দ্র করে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলো সে। নিরীহ পথচারী, কিংবা সাধারণ মানুষ তার এলাকা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতেন।
আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের আগে মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নয়ন বন্ডের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় নয়ন বন্ডকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন সময় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে দুটি মাদক মামলা, একটি অস্ত্র মামলা এবং হত্যাচেষ্টাসহ পাঁচটি মারামারির মামলা রয়েছে।
নয়ন বন্ডকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ২০১৭ সালে সর্বশেষ গ্রেফতার করা হয়েছিলো। পুলিশের খাতায় মাদক চোরাকারবারি হিসেবে তার নাম থাকলেও গত ২ বছরে থেকে সে তার নিজের বাড়িতেই মাদকের আখড়া চালিয়ে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে- উঠতি বয়সী ও বখাটেরা নিয়মিত তার বাড়িতে যেতো মাদক সেবনের জন্য।