২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, চাকরি পেতে যাচ্ছেন সেই চাঁদের কণা

admin
প্রকাশিত জুলাই ১, ২০১৯

Sharing is caring!

অভিযোগডেস্কঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন প্রতিবন্ধী কণা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে চাকরির আশ্বাস পাওয়ার পর তিনি শনিবার(২৯জুন) বিকেলে অনশন ভাঙেন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার মাধ্যমে যোগ্যতা অনুযায়ী সমাজসেবা অধিদফতরে চাকরির ব্যাপারে আশ্বাস পান তিনি।

চাকরির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চারদিন ধরে অনশন করেছেন চাঁদের কণা নামের একজন প্রতিবন্ধী মেয়ে। তিনি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত বিয়াড়া গ্রাম থেকে এসে এ অনশন করেন।
শনিবার বিকেলে অনশন চলার সময় নিজ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাস্টাস দেন চাঁদের কণা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের কথা তুলে ধরেন তিনি। চাঁদের কণার সেই আবেগঘন স্ট্যাস্টাসটি ছিলঃ

‘অবশেষে আমার কষ্ট ও সবার ভালোবাসার হলো জয়…
আমি কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার কাছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আশ্বস্ত করেছেন, যোগ্যতা অনুযায়ী সমাজসেবা অধিদফতরে আমার চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম রনি’র মাধ্যমে আমাকে বিষয়টি অবগত করেন।

এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে মোবাইলে আমার সাথে (প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া) কথা বলে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। আমি আরো কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের প্রতি। যারা আমাকে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আজ আমি অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।

তবে একটা কথা আবারো বলছি, আমি শুধু চাকরির জন্য অনশনে বসিনি। একই সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা আর তার একটু ভালবাসা পাবার জন্য এসেছিলাম। আশা করছি আমার চাকরির নিয়োগ পত্র সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মা তার নিজ হাতে আমাকে তুলে দেবেন। আর আমার মাথায় হাত রেখে আমার মা আমার জন্য দোয়া করবেন, এটাই এখন আমার একমাত্র প্রত্যাশা। সবাই ভালো থাকবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিন।’