Sharing is caring!
বিনোদন ডেস্ক : নিহতের ২৪ বছর পর ঢাকাই ছবির প্রয়াত চিত্রনায়কসালমান শাহের (ইমন) ‘অপমৃত্যু’র জট খুলেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শাবনূরের সঙ্গে সালমানের ঘনিষ্ঠতা ছিল; যা স্ত্রী সামিরা মেনে নেয়নি। তাই সালমান আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমন প্রতিবেদন নিয়ে যখন চিত্রমহল তোলপাড় তখনই জানা গেল, স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে তালাক দিয়েছেন শাবনূর।
এছাড়া ‘বনিবনা হচ্ছে না’-এমন কারণ দেখিয়ে অবসান হলো চিত্রনায়িকা শাবনূর ও স্বামী অনিকের প্রায় আট বছরের যৌথ জীবন!
জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি স্বামীকে তালাক দিয়েছেন শাবনূর।
গত ২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলীয় প্রবাসী অনিককে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। শাবনূরের সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিককে পাঠিয়েছেন তিনি।
নোটিশে তালাকের কারণ হিসেবে ‘বনিবনা না হওয়া- মতের অমিল থাকা’ কে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও অনিককে মদ্যপ, মাদকাসক্ত ও শারীরিক ও মানসিকভাবে স্ত্রী নির্যাতনকারী বলেছেন শাবনূর।
জানা গেছে, নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে।
ডিভোর্স নোটিশ বিষয়ে এখন পর্যন্ত শাবনূর ও অনিক কিংবা দুজনের পরিবারের কোনো সদস্য থেকে বক্তব্য না পাওয়া গেলেও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ।
এক গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘গত ২৬ জানুয়ারি অনিককে ডিভোর্স দিয়েছেন শারমীন নাহিদ নূপুর ওরফে শাবনূর। গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় সেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
উত্তরার নোটিশটি ফেরত এসেছে।তবে গাজীপুরের বাসায় পাঠানো নোটিশ এখনো ফেরত আসেনি। সে হিসেবে নোটিশটি অনিক বা তার পরিবারের কেউ গ্রহণ করেছে বোঝা যাচ্ছে। এবার আইনগতভাবে নোটিশ গ্রহণের ৯০ দিন পর তাদের ডিভোর্স কার্যকরা হবে।’
প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অস্ট্রেলীয় প্রবাসী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে বিয়ে করেন শাবনূর। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর এ দম্পতির আইজান নিহান নামে এক ছেলে হয়। ছেলেকে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন শাবনূর।