মো:ইমরান,নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
সাংবাদিক পরিচয়ে দুইজন ভয়ংকর ডাকাত গ্রেফতার, দিনে সাংবাদিক রাতে ভয়ংকর ডাকাত… এমন সাংবাদিকের তথ্য জানলে আপনারা অবাক হবেন।
তার নাম মোঃ হোসেন (৩২), পিতা- সাং বরফা, আটিপাড়া( নুরে আলম সাহেবের ভাগ্নিনা), থানা-রুপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ একজন পেশাদার ডাকাত। কিন্তু ডাকাত হোসেন অনেক চালাক প্রকৃতির এবং সু-কৌশলী লোক। তাই সে ডাকাতির পাশা পাশি এমন একটি পেশা বেচে নেয়, যে পেশায় কাজ করলে কেউ তাকে অপরাধী বুঝতে না পারে, আর সে পেশা হলো সাংবাদিকতার অন্তরালে ডাকাতি। ডাকাতি করার নতুন কৌশল হিসাবে টাকার বিনিময় দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক হিসাবে নিয়োগ পায়। আর সাংবাদিক পেশায় এসে তার ডাকাতি করার সহজ উপায়ও পেয়ে যায় ডাকাত হোসেন। কারন ডাকাত হোসেন আলী ডাকাতি করার আগে অভিনব কৌশল হিসাবে দৈনিক দেশ পত্রিকার আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে, হাতে ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কোথায়, কোন বাড়ীতে, কোন এলাকায়, কার বাড়ীতে ডাকাতি করবে, এবং কার বাড়ীতে ডাকাতি করলে অনেক টাকা ও প্রচুর স্বনালংকার পাওয়া যাবে। তার তথ্য সহজেই সংগ্রহ করতো ভয়ংকর সাংবাদিক ডাকাত হোসেন। এই ডাকাত হোসেন রাতের বেলা যখন তার ডাকাত দল নিয়ে ডাকাতি করার উদ্দেশ্য কোন এলাকায় বাহির হতো তখনও তার গলায় সাংবাদিকতার কাডটি ঝুলানো থাকতো। রাস্তায় কোন পুলিশ অথবা পাবলিক তাদের সন্দেহের বসতি হইলে সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সবাই কে বাঁচিয়ে নিতো। আবার ডাকাতি শেষে ডাকাত দল নিয়ে ফেরার পথে গাড়ীর সামনে গলায় সাংবাদিক লেখা আইডি কার্ডটি ঝুলিয়ে বসা থাকতো ভয়ংকর সাংবাদিক ডাকাত হোসেন। এ ভাবে ভয়ংকর ডাকাত হোসেন এক সময় হয়ে উঠে সাংবাদিক পেশার আড়ালে ডাকাত দলের সরদার। সোনারগাঁ থানাধীন শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামের মনজুর হাজীর বাড়ীতে গত ১৫/০৬/২০১৯ ইং তারিখ রাত ০২.০০ ঘটিকার সময় বসত বিল্ডিং এর গেইট ও দরজার তালা কেটে ঘর সকলের হাত পা বেধে ডাকাত দল ডাকাতি করে বসত ঘরের সব টাকা পয়সা ও স্বনালংকার নিয়ে যায়। পরবতীতে সোনারগাঁ থানার মামলা নং ৩৬, তারিখ ১৫/০৬/২০২৯ইং, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ দঃবিঃ মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলার তদন্তকারী কমকতা হিসাবে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয় আমাকে দায়িত্ব দেন। আমি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সাহায্যে মূল অপরাধী ডাকাতদের অবস্থান নিশ্চিত করে গতকাল ২৬/০৬/২০১৯ইং তারিখ ০৫(পাঁচ) জন ডাকাত কে গ্রেফতার করি এবং তাদের দখল হইতে ডাকাতি মালামাল উদ্ধার করি। এবং তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করলে তারা সবাই শম্ভুপুরা ভিটিকান্দি ডাকাতি করার কথা স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জনবানবন্দিতে ডাকাত দলের সদস্যরা সাংবাদিক হোসেন কে তাদের ডাকাত দলের সরদার হিসাবে জানায়। পরবতীতে ইং ২৭/০৬/২০১৯ তারিখ গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে ভয়ংকর সাংবাদিক ডাকাত হোসেন বারদী এলাকা হইতে আটক করি। এবং তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে সাংবাদিক পেশার কাডটি ও ডাকাতি মালামাল, নগদ টাকা, মোবাইল সেট উদ্ধার করি। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত হোসেন জানায় যে, তার বিরুদ্ধে ইতি পূবেই আরো ০৩(তিন) টি ডাকাতি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রহিয়াছে। তার ডান পায়ে একটু সমস্যা রহিয়াছে, তাতে তার কোন অসুবিধা হয় না। কারন তার ডাকাত দল যখন ডাকাতি করে সে তখন বাহির অবস্থান করে লোকজনের গতিবিধি লক্ষ্য করে। তার সদস্যরা ডাকাতি করে যে সমস্ত মালামাল পায় সব তার কাছে হস্তান্তার করে। সকল স্বনালংকার বিক্রয় করা টকা ভাগবাটোয়ারা করা তার দায়িত্ব। তবে সে ভাগবাটোয়ার একাই অধেক ভাগ সে পায়। ডাকাত হোসেন আরো জানা যে, আমি সাংবাদিক হওয়ার কারন একটাই লোকজন যাতে আমাকে অপরাধী না ভাবে। সে জন্যই দৈনিক দেশ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য প্রথম ২০০০০/-(বিশ হাজার) টাকা দেয় কতৃপক্ষ কে এবং পরবর্তীতে প্রতি ০৬(ছয়) মাস অন্তর অন্তর দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক হিসাবে নবায়নের জন্য ০৫(পাঁচ হাজার) টাকা দেয়।