১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

আগামীকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
আগামীকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

Sharing is caring!

অভিযোগ ডেস্ক : আগামীকাল শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ভাষা শহীদদের স্মরণে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হবে।

 

 

আগামীকাল প্রথম প্রহরে রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি একুশের মহান শ’হীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।

 

 

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ একুশের প্রথম প্রহরে ১২টা ১ মিনিটে সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর পরপরই শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

 

 

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- রাত ১২টা ১ মিনিটে (রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের) এরপর কেন্দ্রীয় শ’হীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকালে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সংগঠনের সকল শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন।

 

সকাল ৭টায় কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি সহকারে আজিমপুর কবরস্থানে শ’হীদদের কবরে ও কেন্দ্রীয় শ’হীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন।

 

 

এ ছাড়াও ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

 

 

ইতোমধ্যেই অমর একুশে পালনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থানসহ একুশের প্রভাতফেরি প্রদক্ষিণের এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, প্রণয়ন করা হয়েছে শ’হীদ মিনারে প্রবেশের রোডম্যাপ।

 

 

এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

 

 

তিনি গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রীয় শ’হীদ মিনারের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা জানান।

 

 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারকে ঘিরে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহীদ মিনার কেন্দ্রীক প্রত্যেক জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। শহীদ মিনার চত্ত্বরে আর্চওয়ে ও তল্লাশী ছাড়া কোন ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। নিরাপত্তায় ২৪ ঘন্টা ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

 

 

যে কোন জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার- মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।

 

 

১৯৫২ সালের এ দিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।

 

 

মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক (গু -লিবিদ্ধ) হয়ে শ’হীদ হন।

 

 

এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ছুটির দিন। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।