১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ সুনামগঞ্জের মনবেগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের মনবেগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত

Sharing is caring!

আনোয়ারুল হক. সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

শিক্ষাই জাতীর মেরুদন্ড। প্রবাদ বাক্যের পাশাপাশি মনে পরে ১৯৭২-৭৫ এর কথা। নদী মাতৃক বোগলা বোকা নদীর পার্শ্ববর্তী স্থানে অবস্থিত জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পুর্ব পাগলা ইউনিয়নের মনবেগ গ্রামের শব্দটাই উচ্চারণ হত গাছের মন, হাতের ব্যাগ মনবেগ। যখন ছিলনা রাস্তা ঘাট, ডোবা , খাল নালায় ছিল গ্রামের আনাছে কানাছে ভরপুর। ১৮০ ঘরের গ্রাম যাতায়াতের আর যোগাযোগের ব্যবস্থাটাই ছিল লম্বা বাঁশের সাঁকো, কলা গাছের ভেলা ও নৌকায়।

 

১৯৮৫ ইং সালে গ্রামের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি মছদ্দর আলীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগীতায় এবং বিত্তবানশীলদের অর্থায়ানে জমিদাতা হাজী মছরফ আলীর মাস্টার কর্তৃক দেয়া ৩০ শতক জমির উপর মনবেগ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নাম করণে একটি টিনসেড ঘর নির্মাণের মধ্য দিয়ে অত্র গ্রামের হতদরিদ্র গরিব, মেহনতি দিনমজুর, কৃষক ও খেটে খাওয়া ঘরের কোমলমতি শিশুদের হাসি আনন্দ আর উৎফুল্লের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষা যাত্রা শুরু।

 

পাশাপাশি অত্র বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীরগণ যাতায়াতের সুবিধার্তে সরকার থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয় রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন। নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মান ভাল রাখার জন্য শিক্ষকবৃন্দ অক্লান্ত পরিশ্রম করে ছেলে মেয়েদের শিক্ষায় মনযোগী করার প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ের গুণগত মান বাড়তে থাকে। ১৯৯১ সাল থেকে অত্র বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীগণ সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে অসংখ্য মেধা বৃত্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়।

 

 

১৯৯২ সালে সরকারি অনুদানের মাধ্যমে ১ম তলা ভবন নির্মাণ করার পর গ্রামের জনগোষ্ঠির উন্নয়ন ও শিক্ষার মান আরও বেড়ে যায়। ২০০৬ সালে সরকার সারা উপজেলার ন্যায় সরকারি অনুদানে ২য় তলা আরেকটি ভবন নির্মাণ করায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের ভবন সংখ্যা ২টি হয়। ২০১৩ সালে সরকার বিদ্যালয়টিকে জাতীয় করণের ফলে মনবেগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিত লাভ করে। বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রীর মহোদয়ের ছোঁয়াতে যোগাযোগের জন্য রাস্তাঘাট পাকাররণ,নলকুপ, স্যানিটেশন, বিদুৎসহ সর্বক্ষেত্রেই অসংখ্য উন্নয়ন হয়েছে বিদ্যালয়টির।

 

সরজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইদুল হক ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলাপকালে জানান, বিদ্যালয়টির শিক্ষক মোট ৫ জন। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫৬ জন। এদিকে পুরাতন ভবনটি ঝুঁকিপুর্ন হওয়াতে শ্রেণী কক্ষের স্বল্পতা, ওয়াশবল্ক আঙ্গিনায় মাটি ভরাট জরুরী হয়ে পড়েছে।

 

এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার শিক্ষা ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। বিদ্যালয়ের সমস্যা দুরীকরণ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসহ স্কুলের মানগত উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটি এবং ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হুসেন জানান, সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আলাপ করে এর দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবেন।