Sharing is caring!
তৌফিকুর রহমান আজাদ, লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
আমরা জানি বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন অর্থাৎ প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত। এই সৈকত কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম নামক জায়গা পর্যন্ত একটানা একশ বিশ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি দেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র।
দিগন্তজোড়া বিস্তীর্ণ বালুকাবেলা, মেঘ কালো সারি সারি ঝাউবন, সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া একেকটি ঢেউ, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে জেলেদের কর্মচাঞ্চল্য, ভোরের আকাশে পূব পাহাড়ের পেছন থেকে কাঁসার থালার মতো বেরিয়ে আসা সূর্য, আবার সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের মায়াবী রূপ এই সমস্ত সৌন্দর্যের আয়োজন নিয়েই দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে রচিত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। দেশের ভিতরে কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে দেখা যায় প্রথমে অবশ্যই কক্সবাজারের নাম এসে যায়। কেবল মাত্র দেশীয় পর্যটকই নয়, বিদেশ থেকেও প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এই সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসে। দেখা যায় যথাযথ তথ্যের স্বল্পতা এবং সুন্দর একটি ভ্রমণ পরিকল্পনার অভাবে আমাদের অনেকেরই কক্সবাজার ভ্রমণ শতভাগ সার্থক হয়ে ওঠে না। সেই দিকটা ভেবে ঈদকে সামনে রেখে আমাদের এই পর্বে কিভাবে একটি সার্থক কক্সবাজার ভ্রমণ করা যায় তার বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে দক্ষিণে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫২ কিমি এবং ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪১৪ কিমি। রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক এবং বিমানপথে কক্সবাজার যাওয়া। সৈকতের মেরিনড্রাইভ একটি অসাধারণ রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যত দূরে যাবেন পুরো জায়গাই আপনাকে মুগ্ধ করবে। একপাশে পাহাড় আর একপাশে সমুদ্র দেখে হবেন বিমোহিত। কক্সবাজার গেলে একটিবার দর্শন দেবার জন্য যেসব দর্শনীয় স্থান আপনাকে হাতছানি দিবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে :
কলাতলী ও লাবনী সৈকত : জেলা শহর থেকে নিকটে হওয়ার কারণে কলাতলী এবং লাবনী সৈকত পর্যটকদের নিকট প্রধান আকর্ষণ বলে গণ্য হয়ে থাকে। সৈকতের এই দুইটি পয়েন্টের মাঝের দূরত্ব মাত্র পনের মিনিট। লাবণী পয়েন্টে পাওয়া যায় ঝিনুক মার্কেট এ ছাড়া ছোট-বড় অনেক দোকান যেখানে নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করে। আর কলাতলী সৈকতে আছে বেশকিছু রেস্টুরেন্ট, যেখানে বসে এক মগ কফি পান করতে করতে মনোরম সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়।
ইনানি সৈকত : কক্সবাজার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের আকর্ষণীয় এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম ইনানী সৈকত। কক্সবাজার থেকে এর দূরত্ব ৩৫ কিমি। অভাবনীয় সৌন্দর্যে ভরপুর এই সৈকতটি দিনকে দিন অধিক পর্যটক প্রিয় একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত লাভ করছে। আমরা জানি কক্সবাজার সৈকতের পানি খানিকটা ময়লা বা ঘোল কিন্তু ইনানি পরিস্কার পানির কারণে পর্যটকদের কাছে সমুদ্রস্নানের উৎকৃষ্ট স্পট বলে বিবেচিত। ভাটার সময় এখানকার সমুদ্রের মাঝে অনেক প্রবাল পাথর দেখা যায়।