১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটের জালালাবাদে জোরপুর্বক কিশোরীকে গনধর্ষন

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
সিলেটের জালালাবাদে জোরপুর্বক কিশোরীকে গনধর্ষন

Sharing is caring!

 

সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ- সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন ৭নং মোগলাগাঁও ইউনিয়নের খসরপুর গ্রামের মোঃ রইছ আলীর কন্যা মোছাঃ লিমা বেগম (১৭) কে গত ০৪/০২/২০২০ ইং রোজ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২:১০ ঘটিকার সময় এলাকার কতিপয় বখাটেরা জোরপুর্বক গনধর্ষন করে পালিয়ে যায়।
সরজমিন প্রতিবেদন কালে ধর্ষিতার বাবা রইছ আলীর কাছ থেকে জানাযায়, গত ০৪/০২/২০২০ ইং রোজ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২:১০ মিনিটের সময় তিনি তার মেয়ে মোছাঃ রিমা বেগম(১৭) কে নিয়া নিজ গ্রাম ফরসপুরস্থ মজিরশাহ মোকামের উরসের মেলায় কেনাকাটা শেষ করে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে জালালাবাদ থানাধীন খসরপুরস্থ কেরামত আলীর বাড়ির পুর্ব পাশের রাস্তায় আসা মাত্র পুর্বপরিকল্পনামতো উৎ পেতে থাকা আব্দুল হক(৩০)পিতাঃ মৃত: তখন মিয়া,মোখলেছ মিয়া(৩১) পিতাঃমৃত:ছইদউল্লাহ,ও আব্দুল কাদির ওরফে বাদশা আমার মেয়েকে জোরপুর্বক পাশের বন্দে নিয়ে যায় আমি বাঁধা দিতে চাইলে কয়েছ মিয়া(২৯) পিতাঃ আপ্তাব আলী,লাল মিয়া(৩০) পিতাঃ মবশর আলী ও মুহিবুর রহমান(৩০) আমাকে জিন্মি করে রাখে।আমি চিৎকার করতে চাইলে তারা আমার হাত-পা ও মুখ বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়।অনেক চেষ্টা করে আমি নিজেকে বাঁধন মুক্ত করে চিৎকার করতে থাকলে খসরগাঁওয়ের রাকিব আলী(২২)ও বানাগাঁওয়ের আলী আহমদ(২২) সহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে আমি তাদেরকে সবকিছু খুলে বলি এবং আমার মেয়েকে খুঁজতে থাকি। প্রায় একঘন্টা খোঁজাখুঁজি করার পর কান্নারত অবস্থায় আমার বাড়ির দিকে আসতে দেখে ছুটে যাই।তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় তাহারা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একের পর একজন পালাক্রমে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত সকলেই মোগলাগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গালুমশাহ গ্রামের বাসিন্দা।এরমধ্যে মুহিবুর রহমান পাশ্ববতী ভগতিপুর গ্রামের বাসিন্দা। এমতাবস্থায় আমি বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বি ও জনপ্রতিনিধিকে জানাই।তাহারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার আশ্বাস দেন।পরে তাদের কাছ থেকে কোন সুবিচার না পেয়ে গত ১১/০২/২০২০ ইং জালালাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এব্যাপারে জালালাবাদ থানার অফিসার্স ইনচার্জ অকিল আহমদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।এই ঘটনায় জালালাবাদ থানায় ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী ৯(৩)/৩০ ধারা ধর্ষন ও গণধর্ষণের সহায়তা করায় মামলা দায়ের করেন।মামলা নং জিআর ১৩/৩৪ – ১২/০২/২০২০ ইং। এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে এসআই শাহআলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেয়েটি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ওসিসিতে পর্যবেক্ষনে আছে। এ রিপোর্ট এর আগে গতকাল রাতে জালালাবাদ থানা পুলিশ বাদশা ও মুহিবকে গ্রেফতার করে আজ আদালতে সোপর্দ করেছে বলে থানা সুত্রে জানানো হয়।

নিউজে সহযোগিতা করেছেন, জাতীয় সাপ্তাহিক বাংলার মাটি পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ।