১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজগঞ্জ চৌহালীতে গৃহবধূ ধর্ষন, সুষ্ঠু বিচারের দাবি এলাকাবাসীর

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
সিরাজগঞ্জ চৌহালীতে গৃহবধূ ধর্ষন, সুষ্ঠু বিচারের দাবি এলাকাবাসীর

Sharing is caring!

 

মোঃ আজাদ সিদ্দিকী চৌহালী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জ চৌহালীর খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের রেহাইপুকুরিয়া গ্রামের মোঃ রজব আলীর স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া খাতুন (৩২) কে একই গ্রামের মৃত্যু আনছের মোল্লার ছেলে মোঃ ইউনুছ মোল্লা (৪০) গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত্রি আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন।

সরোজমিনে মোছাঃ রোকেয়া খাতুন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি রাতের খাবার খেয়ে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরি। রাত্রি আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাহিরে বের হয়। আগে থেকে উৎপেতে থাকা ধর্ষক সেই সুযোগে আমার ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। কিছুক্ষণ আমি ঘুমিয়ে পরলে আমার শরীরে হাতের স্পর্শ পেয়ে থাকি এবং আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি চিৎকার করতে চাইলে আমার পরনের কাপড় দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে। আমি কোন চিৎকার করতে পারিনা নিজেকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করি। সেই সাথে ধর্ষক তার গলায় ছুরি ধরে বলে কোন রকম চিৎকার করলে আমাকে সহ আমার সন্তানদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি ভয় পেয়ে যাই।

ধর্ষিতা আরোও বলেন, আমি শত চেষ্টা করেও নরপশুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারিনি। ধর্ষক যখন আমার ঘর হতে চলে যাচ্ছে তখন আমি অনেক জোরে চিৎকার করি। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। লোকজন ছুটে আসা দেখে ধর্ষক পালিয়ে যায়। এই কথা বর্ননা দিতে গিয়ে তিনি হাওমাও করে কেঁদে ওঠে।

রাতেই ধর্ষণের ঘটনা এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই এবং সবার কাছে বিচার চেয়ে থাকি কিন্তু আমি কোন বিচার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ (মামলা নং-৯৪/২০) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

খাষপুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য বলে আমাদেরকে জানান। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু দাউদ সরকার তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, শুধু এটাই না তার বিরুদ্ধে আরও অনেক কুকর্মের রিপোর্ট আছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এলাকাবাসী ও গৃহবধূর পরিবার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানান। এব্যাপারে চৌহালী থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, ধর্ষনের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। এছাড়া এ ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি।