Sharing is caring!
বসন্তপুরের বসন্তবাবু
★★★ শোভা রাণী বিশ্বাস ★★★
বসন্ত পুরের বসন্ত গেছে
শিবরামের বাড়িতে,
রান্না ঘরে গিয়ে দেখে
ভাত নেই তাঁর হাড়িতে।
খেতে দেবে কি যে শিবু
ভাবছে বসে পিঁড়িতে,
বসিয়ে রেখে বসন্ত কে
বাহির ঘরের সিঁড়িতে।
সূর্য্যনগর বাপের বাড়ি
বউটা গেছে গতকাল,
আসতে যদি বলি এখন
থাকবে না যে পিঠের ছাল।
শীতের পিঠা খাবে বলে
খরচা করে গেলো যে,
খবর দিলেও হয়না মনে
আমার কথায় আসবে সে।
সকালবেলা বের হয়েছে
বন্ধু আমার বসন্ত,
সকাল গিয়ে দুপুর গেলো
বিকেল প্রায় পড়ন্ত।
মুখটা দেখে শিবু রামের
বুঝলো কিছু হয়েছে,
তা-না হলে মুখটাকে ভার
করে কেন রয়েছে।
বললো শিবু সমস্যা কি?
মুখটা আছো করে ভার,
সমস্যাটা আছে যেমন
সমাধানও আছে তার।
দুঃখটাকে শেয়ার করে
ফিরিয়ে দেবো তোরই মান,
দু’জন মিলে করলো যে তাই
সমস্যারই সমাধান।
বউ গেছে তোর বাপের বাড়ি
যাইনি তো সে চাল নিয়ে,
ঘরে তোরই যাই আছে
চলনা রাধি তা দিয়ে।
খাবোই যখন আমরা দুজন
হোক যেমনই রান্না আজ।
চিন্তাটাকে ঝেড়ে ফেলে
চলনা দুজন করি কাজ।
রান্না হলো, খাওয়া হলো
দূর হলো তার ক্লান্তিটা,
দু’জন মিলে ঘুমিয়ে গেলো
পরম সুখে শান্তিতে।।