আল আমিন, আকবরশাহ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজারে প্রায়সময় দেখা যেতো কবির(৬০) নামে এক বৃদ্ধ ও তার ছোট মেয়ে হেঁটে হেঁটে শাক, ধনেপাতা এসব বিক্রী করতে। কোনমতে চলছিলো তাদের পরিবার।
বাসা থেকে বের হয়ে প্রায়ই দেখতাম ব্রিজের পাশে বাবা অথবা ছোট্ট মেয়েটাকে টিকে থাকার জন্য এটা সেটা নিয়ে বসতে....
কিন্তু গত তিন মাস আগে থেকে ওনার প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হতে দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হয়। এক মাস আগে অপারেশন হলেও নিয়মমতো ড্রেসিং দেওয়ার জন্য গত এক মাস মেডিকেলে ভর্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু গত পরশু আবারো অপারেশনের কথা বলে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশনের পর থেকে রোগী আর কথা বলা, নড়াচড়া করতে পারছিলো না। অথচ কথিত সেই অপারেশনের আগেও তিনি দিব্যি ছিলেন,।
শেষমেষ আজ ভোর ৪টায় মারা যায় সেই বৃদ্ধ।
বাড়িতে এনে গোসল করাতে গিয়ে যখন ব্যান্ডেজ খোলা হলো, দেখা গেলো শরীরে তিন-চারটা ছিদ্র এবং ভিতরে এক বালতির ও বেশি তুলা ছাড়া কিছু নেইই। কিছু নেই বলতে কোন সেলাই-ও নেই....
তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং মিডিয়া আসছে। পরিবারের অনুমতি নিয়ে রোগির ময়নাতদন্ত করার জন্য নেওয়া যাওয়া হবে।
যতটুকু জানতে পেরেছি- যখন রোগীকে অপারেশনের নামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো, তখন রোগীর বৃদ্ধা স্ত্রী ছাড়া আর কেউ সাথে ছিলো না।
রোগীর রক্তের গ্রুপ ছিলো ও পজেটিভ। একমাস ধরে ড্রেসিং করানোর জন্যই রোগীকে ভর্তি রাখা হয়েছিলো....
কথা হচ্ছে, সরকারি মেডিকেলে এমন ডাক্তার নামে কসাই নতুন নয়,নিত্যদিনই হয়ে আসছে ডাক্তারি মেবার নামে কসাই-বৃত্তি.....
দেশের সেরা একটি মেডিকেল কলেজে যদি এমন হয়, তাহলে গরিবরা কই যাবে???
বিচার হবে কি তাদের??
নাকি সয্য করে যেতে হবে তাদের ডাক্তারি সেবা নামে কসাই বৃত্তি....
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.