Sharing is caring!
কেএম সুজন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চলছে অবৈধভাবে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রয়ের মহোৎসব। ফুলে ফলে ভরা শস্য-শ্যামলা টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রতিটি গ্রামে রয়েছে শস্য ভান্ডার। কতিপয়, কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী একটি মহল তাদের নিজ স্বার্থ চরিতার্থের জন্য তিন ফসলী, দো ফসলি জমির উর্বর মাটির অংশ কেটে বিক্রয় করছে বিভিন্ন ভাটা মালিক গণের নিকট। অথবা কোথাও দেখা যাচ্ছে ফসলি জমি গুলোকে নিজের ইচ্ছা মত কোন প্রকার নিয়ম নীতি না মেনে, পুকুর খননে ব্যস্ত রয়েছে।
অপরদিকে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের ফসলি জমি, পাশাপাশি পুকুর খননের পার্শ্ববর্তী জমি গুলো হারিয়ে ফেলছে উর্বরতা ও বিভিন্ন ফসল আবাদে প্রতিবন্ধকতা। নাগরপুরের সদর, মামুদনগর,পাকুটিয়া,গয়হাটা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ও নদী পাড় এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, যত্রতত্র পুকুর খনন ও জমির টপসয়েল বিক্রির কারণে আবাদি জমি সংকোচিত হয়ে পড়ছে এবং শস্য উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। পুকুরের পাশের জমির মালিক গন জানান, আমরা প্রশাসনের কাছে কিভাবে যাব, আমাদের কথা কে শুনবে। যারা পুকুর কাটছে এরাতো এলাকার প্রভাবশালী, বিত্তশালী এবং ক্ষমতাসীন দলের লোক। আমাদের বাধা এরা কিভাবে শুনবে এবং কেন শুনবে, আমরা নিরুপায়।
অপরদিকে অতি উৎসাহী মাটি খেকোরা মাটি বিক্রির পাশাপাশি গ্রাস করে নিচ্ছে, ফসলি জমি ” আমাদের দেশে জমি বাড়ছে, না বাড়ছে মানুষ ” এভাবে যদি অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন ও মাটি কাটার কাজ চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ফসলি জমি থাকবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস জানান,ফসলি জমির টপসয়েল বিক্রি করায় জমির উর্বরতা শক্তি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।আমরা কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন,নিয়ম নীতি না মেনে পুকুর খনন ও জমির টপসয়েল বিক্রি অাইনত অপরাধ। খুব দ্রুতই এসকল কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।