১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে কমলগঞ্জে যুবক আটক

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০
কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে কমলগঞ্জে যুবক আটক

Sharing is caring!

বিশেষ প্রতিনিধি কমলগঞ্জ:

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা-বাগানের প্লান্টেশন এলাকায় প্রাকৃতিক কাজ সারতে গেলে এক কিশোরীকে (১২) ধরে নিয়ে ৪ ঘন্টা আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সজিব মাঝি (২৪) নামের একজনকে আটক করেছে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাকে আটক করা হয়ে। এর আগে গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় কিশোরীকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাত ৮টায়ছেড়ে দেয় ধর্ষকরা।

শমশেরনগর চা-বাগান ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার শমশেরনগর চা-বাগানের নারায়ণ টিলার ওই কিশোরী পাশের চা প্লান্টেশন এলাকায় প্রাকৃতিক কাজ সারতে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় একই এলাকার সজিব মাঝি (২৪) কিশোরীকে ধরে নিয়ে নির্জন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। রাত ৮টায় কিশোরীকে ছেড়ে দিলে সে বাসায় ফিরে ঘটনাটি সবাইকে অবহিত করে।

আজ শনিবার দুপুরে নির্যাতিতা কিশোরী ও তার মা শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে উপস্থিত হয়ে পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করেন। এরপর শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরীর নির্দেশে এএসআই সৈকতের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত সজিব মাঝিকে আটক করে।

নির্যাতিতা কিশোরীর মা জানান, তিনি সকালে কাজে গেলে বাড়িতে মেয়ে একা থাকত। তখন সজিব তার মেয়েকে নানাভাবে উত্যক্ত করত। শুক্রবার বিকেল ৪টায় মেয়ে পাশের চা প্লান্টেশন এলাকায় প্রাকৃতিক কাজে গেলে সেখান থেকে ফেরার সময় সজিব মাঝি তাকে ধরে নিয়ে একটি নির্জন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে রাত ৮টায় তাকে আবার ছেড়ে দেয়। তিনি প্রথমে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীকে অবহিত করেছিলেন। পরে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।

শমশেরনগর ইউনিয়নের চা-বাগান এলাকার ওয়ার্ড সদস্য ইয়াকুব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগটি গুরুতর। এটি সামাজিকভাবে সমাধানের কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া ধর্ষকের স্বজনরা নির্যাতিতার চেয়ে উঁচু বর্ণের দাবি করে তারাও কোনো সামাজিক সমাধানে যায়নি।’

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বোঝা গেছে কিশোরীর সাথে অভিযুক্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের মাঝে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। চা-বাগান থেকে বিভিন্নভাবে বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে সমাধান করে কিশোরীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হলেও মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক ও উভয়ের মাঝে উঁচু বর্ণ ও নিম্ন বর্ণ দাবি করে অভিযুক্তের পরিবার এ ধরনের উদ্যোগ মেনে নিতে রাজি হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান থানার বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি থানায় ফিরলে তার সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে