Sharing is caring!
খোন্দকার আব্দুল্লাহ বাশারঃকোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামে বকুল পার্ক এর মালিক অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছেন এমন নিউজ কালেকশন করতে গিয়ে গত ২৯/১/২০২০ সকাল ১০ ঘটিকার সময় পার্কের মালিকের ভাইপোর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এর আগে অনেক সাংবাদিক এসেছে কিছু করতে পারেনি, কোটচাঁদপুর উপজেলার uno মহাদয় বিষয়টি জানেন,কোটচাঁদপুর মডেল থানার ওছি মাহাবুব আলম এর সাথে থানায় বসে কথা হয়েছে এবং কৃষী অফিস ও মৎস অফিস এর নিকট থেকে পারমিশন নিয়েছি।পারমিশন কপিটা সাংবাদিকরা দেখতে চাইলে দেখাতে পারেন না,বলেন বকুল মিয়ার কাছে আছে। পরে ড্রেজার মেশিনের ছবি তুলতে গিয়ে দেখতে পায়, পার্কের ভিতরে বাগানের মধ্যে দুই জোরা স্কুল পড়ুয়া কপোত-কপোতি অনৈতিক কাজে লিপ্ত।এমন সময় ছবি তুললে তারা ভুল শিকার করে কান্নাকাটি করেন। তাদের বাসার ঠিকানা জানতে চাইলে মেয়ে দুইটি বলেন আমাদের বাসা কোটচাঁদপুর উপজেলার বিদ্যাধারপুর গ্রামে এবং ছেলেদের বাসা মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর। তাদের কাছে স্কুল ব্যাগ ও বই খাতা কলম পাওয়া যাই। মেয়ে দুইটি কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিণদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নবম ও দশম শ্রনীর ছাত্রী, এবং ছেলে খালিশপুর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা কিভাবে বইখাতা নিয়ে পার্কে ঢুকলো এমন প্রশ্ন করলে তারা বলেন আমাদের কাছ থেকে ম্যানেজার একটু বেশি টাকা নিয়ে ঢুকিয়েছে। তাদের কাছে টিকিট আছে কিনা জানতে চাইলে ১৯/৩/২০১৬ সালের একটা টিকিট দেখান বলেন এটাই দিয়েছে। পরে তাদের বাসার ফোন নং জানতে চাইলে দিতে রাজি হয় না, অপর আর একজন সাংবাদিক সহকর্মী তাদের কাছ থেকে ফোন নিয়ে বাসার নাম্বার নেওয়ার চেষ্টা করলে। এমন সময় পার্ক ম্যানেজার এবং ভুয়া টিকিট বিক্রেতা, এসে সাংবাদিক দের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এখানে কি করছেন। পরে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন পার্কে এ মানুষ কি করতে আসে। সব পার্কে এমন ঘটনা ঘটে, কিছুদিন আগে যশোর কোর্ট পার্কে এমন ঘটনা ঘটেছে।স্কুলব্যাগ বইখাতা নিয়ে এসেছে এবং টিকিটের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন এটা দেখার জন্য পুলিশ আছে আইন আছে আপনারা কি করতে এসেছেন। বলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও গালাগালি করেন। এবং পার্কে ঘুরতে আসা ছেলে মেয়েদের পার্ক ম্যানেজার তাদের কে ভয় দেখায়, এবং বলেন মোবাইল টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছে এমন কথা বললে তোমরা বেঁচে যাবে এই কথা বলে পার্ক এর মালিক বকুল মিয়ার কাছে ফোন করে বলেন দুইজন সাংবাদিক পার্কে চাদাবাজী করতে এসেছে পুলিশে খবর দেন বলে জিম্মি করে সাংবাদিক দের কাছ থেকে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পার্ক এর কুকৃত্তি ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ছবি আলামত নষ্ট করে দেয়।পরে লক্ষিপুর ফাঁড়ীতে ফোন করে এস আই সুজায়েত উল্লাহ কাছে, পরে তিনি ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন।