১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

পটুয়াখালী ছোটবিঘাই প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১ ও থানায় মামলা, গ্রেফতার ১

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩০, ২০২০
পটুয়াখালী ছোটবিঘাই প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১ ও থানায় মামলা, গ্রেফতার ১

Sharing is caring!

এস আল-আমিন খানঁ, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট-বিঘাই ইউনিয়নের তুষখালী ১ নং ওয়ার্ডে ২৮ জানুয়ারী দুপুর ২ ঘটিকার সময় ঘটনাটি ঘটে।প্রতিপক্ষের হামলায় স্বপন চৌকিদারের মাথায় ও হাতে পায়ে কোপের কারনে গুরত্বর হারকাটা জখম হয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে।এবিষয়ে মোসাঃ মমতাজ বেগম (৪৮) বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত করে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সুত্রে পাওয়া, বাদী মোসাঃ মমতাজ বেগম (৪৮),স্বামী-চান মিয়া চৌকিদারের ছেলে স্বপন চৌকিদার কে খুন করার উদ্দেশ্য এ হামলা চালায়।মামলাকৃত আসামীরা হলেন, ১. আব্দুল জলিল চৌকিদার (৩৫), ২. ইলিয়াস চৌকিদার (২৫), উভয় পিতা-আতাহার চৌকিদার, ৩. নাসির হাওলাদার (৩০),পিতা-মৃত নাজেম হাওলাদার, ৪. আতাহার চৌকিদার (৬০),পিতা-মৃত আদম আলী চৌকিদার, ৫. মোসাঃ হালিমন বেগম (৪০),স্বামী-আতাহার চৌকিদার ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন।

মামলা সুত্রে আরো জানাগেছে, গত ২৮ জানুয়ারী তুষখালী গ্রামে ইউসুফ হাওলাদের সাথে আসামিদের জমি জমার বিরোধ নিয়ে এলাকায় পুলিশ যায় এই বিষয়ে আসামী পক্ষের সাথে পুর্ব শত্রুতার কারনে প্রতিপক্ষকে সন্দেহ করে দেশীয় অস্ত্র রামদা, দাও, লাঠি নিয়া জনতাবদ্ধ হয়ে খুন করার উদ্দেশ্য বসত বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর করে। বাঁধা দিতে গেলে স্বপন চৌকিদারকে দাও দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুত্বর যখম ও রামদা দিয়ে কোপ দিলে হাতে হাড় কাটা জখম হয় এছাড়াও লাঠি দিয়ে পেটায়। আসামীরা বসত ঘর কোপাইয়া একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।এমনকি নারীদের শ্লীলতা হানি ঘটায় বলে মামলায় উল্লেক্ষিত রয়েছে।

এবিষয়ে বাদী মমতাজ বেগম বলেন, আসামীদের সাথে আমাদের পুর্বে জমি জমার বিরোধ রয়েছে এর আগেও তারা আমাকে আমার ছোট ছেলেকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে এবার আমাদের সাথে কিছুই ঘটেনি এলাকায় পুলিশ গিয়েছিলো ইউসুফ হাওলাদার এর সাথে আসামিদের জমি জমার ঝামেলায় আমরা পুলিশের সাথে কথা বলায় তারা সন্দেহ করে আমার ছেলে স্বপনকে মেরে ফেলতে অমানুষের মত কোপায় ওরা পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে একাজ করেছে আমার ছেলেটা মনে পঙ্গু হয়ে যাবে। আমি আইনের কাছে এর সঠিক বিচারের জন্য মামলা করেছি কিন্তুু বর্তমানে বিভিন্নভাবে আসামীরা আমাদের মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দেখায় আমরা বর্তমানে মা ছেলে জীবন বাচাঁতে বাড়ি ছেড়ে এখানে ওখানে পালিয়ে বেড়াচ্ছি আমি আইনের কাছে আসামীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে শাস্তি দেয়ার দাবি জানাই।কারন এরা স্থানীয় শালিশ মিমাংসার জন্য কোন গন্যমান্যকে মানে না গায়ের জোরে চলে।ঘ

এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একজন আসামী গ্রেফতার করে পুলিশ এবং এজাহারটি আমলে নিয়ে মামালা রুজু করা হয়েছে। এব্যাপারে এস,আই হাসান বশির বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলায় ব্যবহারকৃত অস্ত্র দেশীয় দুটি দাও উদ্ধার ও হালিমন বেগমকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে এবং মামলা রুজুর পরে আসামীকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।