Sharing is caring!
মোজাম্মেল হক :
মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা না দেয়ায় সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানায় এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিকে ট্রলার ভাড়ার নিয়ে অপহরণ করে হত্যা করেছে দৃবৃর্ত্তরা। নিহতের নাম সুজন কান্তি সরকার(২৮)। সে জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার সদর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত আশুতোষ সরকারের ছেলে।
আজ রোববার সকালে নিহতের স্বজনরা সুজনকে অপহরণের দীর্ঘ ১৩ দিনের মাথায়অনেক খোজাখুজিঁর পর স্থানীয় টগার হাওরে গলিত একটি লাশ ভেসে উঠতে দেখে লোকজন মধ্যনগর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে আজ সকাল ১১টায় ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নিহত সুজন মধ্যনগর থানা এলাকায় ট্রলার চালিয়ে জীবন জীবিকা নিবার্হ করে আসছিল। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত ১২ জুন সন্ধ্যায় একই থানার চামারদানী ইউনিয়নের মাছুমাকান্দা গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে অপহরণকারী মোশারফ হোসেন(৩০),বলরামপুর গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে তানভীর আহমদ(২২) ও টোপের কোণা গ্রামের লাল চাঁন মিয়ার ছেলে কাজল মিয়া গংরা সুজনের ট্রলার ২ হাজার টাকায় ভাড়া করে টাঙ্গুয়ার হাওরে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ঘুরাঘুরি শেষে রাত্রিযাপন করে এবং সুজনকে দুই হাজার টাকা ভাড়ার পরিবর্তে ৫ শত টাকা কম ১৫ শত টাকা দিলে অপহরণকারীদের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনায় গত ১৩ জুন অপহরণকারী মোশারফ গংরা সুজনকে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববতর্ী ট্রগার হাওরে ফেলে সুজনের মোবাইলে তার আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং দুইদিনের ভিতরে টাকা না দিলে তাকে হত্যা করার ও হুমকি দেয়া হয়। সুজনের পরিবারের স্বজনরা সাথে সাথে ৩ লাখ টাকা জোগাড় করে কোথায় নিয়ে আসতে হবে বলে অপহরণকারীদের কথা বলার কিছুক্ষণ পর নিহত সুজনের মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়।
এরপর থেকে সুজনের কোন সন্ধান না পাওয়াতে সুজনের মা সাবিত্রী রানী সরকার নিজে বাদি হয়ে গত ১৪ জুন অজ্ঞাতনাাম ব্যক্তিদের আসামী করে মধ্যনগর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গত ২২ জুন মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম নেওয়াজ এর নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকতার্ এস আই সোহেল সহ পুলিশের একটি দল ঢাকার বাড্ডা থানা পুলিশের সহায়তায় ঢাকার উত্তর বাড্ডা থেকে অপরহণকারীর মূল হোতা মোশারফ হোসেন ও কাজল মিয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় এবং বলরামপুর গ্রাম থেকে আমাী পরিকল্পনাকারী তানভীরসহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম নেওয়াজ অপহরণ ও গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বাকি আসামীদের প্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।