Sharing is caring!
রাকিবুল হাসান, গাজীপুর প্রতিনিধিঃরাত পোহালে শোনা যায় শ্রীপুর থানাদিন অমুক জায়গায় খুন ধর্ষণ রাহাজানি অত্যাচার জমি সংক্রান্ত রাজনীতি, দিন দিন বেড়েই চলছে এইসব ঘটনা শেষ কোথায়।
শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে নেশা খাওয়াইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে আসামী করে থানা মামলা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, নয়নপুর এলাকা সোহরাবের ছেলে শরীফ (১৮), লিটনের ছেলে সুজন (১৯), নয়নপুর এলাকার হারুনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া কবিরের স্ত্রী উর্মি (১৮) ও শরীফ (২০)। এঘটনায় উর্মি নামে এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ছাত্রীর মা জানান, সে স্থানীয় একটি কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করে। তাঁর মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের যাওয়া-আসার পথে নয়নপুর এলাকার সোহরাবের ছেলে প্রেম প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব এবং প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না দিলে অপহরণের হুমকিও দেয়।১৫জানুয়ারী বুধবার কারখানার কতর্ব্যপালন শেষে রাত ১০টায় বাসায় এসে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের অন্যান্য স্বজনসহ আশপাশে খোজাখুঁজি শুরু করি। খোজাখুঁজি এক পর্যায়ে নয়নপুর গ্রামের জনৈক আসাদ মোল্লার বাড়ীর পাশে ঝোঁপঝাড়ের ভেতর থেকে মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফিরে আসলে মেয়ে জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে শরীফ মুখে গামছা দিয়ে তুলে নেয়। নয়নপুর গ্রামের জনৈক আসাদ মোল্লার বাড়ীর পাশে ঝোপঝাঁড়ে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুস সাকীব জানান, এঘটনায় উর্মি নামের মামলার চার নাম্বার আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকী অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
অভিযুক্ত চার জন কে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হলেন, শরীফ হোসেন (১৮), ইমরান হাসান সুজন (১৯), আহসান ওরফে হাসান (১৬) এবং শরীফ উদ্দিন মোল্লা (২০)।র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডর কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি আসামিরা গাজীপুরের রাজবাড়ী এলাকায় অবস্থান করছে। পরে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি শরীফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক বাকি আসামিদের ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয়
তিনি আরও জানান, ১৬ জানুয়ারি আসামিরা জন্মদিনের কথা বলে ভিকটিমকে শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকার একটি বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে ভিকটিমকে খাইয়ে দেয়। সে অজ্ঞান হয়ে গেলে বাড়ি থেকে একটু দূরে ঝোপের ভেতর নিয়ে চার বন্ধু মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এসময় ইমরান হাসান সুজন ভিডিও ধারণ করে।