Sharing is caring!
রচনায় – কবি ডা.মিজান মাওলা।
রচনা কাল- ১৭/১০/১৯ই
মানুষ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী মরার পর তার কোনো কার্যক্রম বা আদর্শ ও নিজস্ব এবং স্বজনদের প্রীতি বা সম্পর্ক থাকেনা, তাই অন্য সব প্রাণী মরার পর থাকেনা লেনা দেনা বলেনা কেউ ভালো মন্দের গুনাগুন থাকেনা তাদের হিসাব নিকাশ কোনো দরকার হয়না পরবর্তী সময়ে কোনো উত্তরসূরীর চিন্তা ভাবনা বা লেনাদেনার প্রয়োজন হয়না।
যা মানুষ থেকে সম্পুর্ণ আলাদা তাঁদের নেই কোন সম্পর্কিত টান বা মায়া মমতা।
আর একজন মানুষ আছে জীবনের আদর্শ আছে বুদ্ধি বিবেক আছে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিকাশ আছে আত্নীয় স্বজন বন্ধন আছে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আছে লেনা দেনা আছে প্রাপ্তি আছে হিসাবে নিকাশ,আছে মায়া মমতায় ঘেরা, তাই আমি বলবো মানুষ তো মানবতার-ই আদর্শবাদী তার আছে সব এইজন্যই আমি বলছি “অদ্ভুত রহস্যর গল্প লাশের জীবন কথা” মানুষ মরার পর তার সব কিছু চালু থাকে শুধু বিলুপ্ত ঘটে তার রুপের,তবে এই মানুষের মধ্যে আছে কিছু নৈতিকতার অভাব অঙ্গ প্রত্যঙ্গে সুন্দর শক্তি শালী আসলে তার নৈতিকতার অভাবে সমাজের মানুষ তাকে ধিক ধিক করে থাকেন অস্থায়ী ভাবে আর যদি কারো কার্যকলাপ স্থায়ী ভাবে হয়ে থাকে তাহলে সমাজে তাকে পাগল বলে।
আর যারা প্রকৃত অর্থে মানুষ তাদের জীবন কথা শেষ হয়না কোন দিন যা টিকে থাকে যুগের পর যুগ শত শত বা হাজারো বছরের ইতিহাস।
লাশের জীবন কথার অন্তরায় কোন মানুষ গুলো আসুন তাদের একটু চিনি আর এই মানুষ গুলির আদর্শ একার জন্য নয় অথবা শুধুমাত্র তাঁর একটি সংসারের জন্যে নয় তাদের চিন্তা চেতনা গোটা সমাজ বা জাতি বা দেশ নিয়ে।
আবার এমনও মানুষ আছে যারা বিশ্ব নিয়ে পৃথিবী জোরে চিন্তা গবেষণায় লিপ্ত এরকম অনেক মানুষ আছে যাদেরকে বলা হয় মহা মানব,
যেমন – নবী, রাসুল, অলী আওলীয়া, পীর, পয়গম্বর, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিক, রাজা ও বাদশাহ ইত্যাদি।
লাশের জীবন কথা:- লাশের জীবন কথা বলতে আমি সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণ মানুষের আদর্শ চিন্তা চেতনা ও গবেষণা যা অন্য একজন মানুষের জীবন যাপন করতে পথ বা নকঁশা স্মৃতি মাইল ফলক হয়ে থাকে তাকেই বুঝাতে চেয়েছি।
যেমন আজ এ পৃথিবীতে বা ভুখন্ডের কোন প্রান্তে এমন আদর্শে লোক আজ আর বেঁচে নেই কিন্তু আছে তার আদর্শ যেমন আমি একজন মহামানবের কথা বলব যাকে সৃষ্টি না করলে আসমান জমিন পাহাড় পর্বত চন্দ্র সুর্য আগুন পানি গাছপালা তরুলতা মানব দানব জ্বীন ও ঈনছান কিছুই সৃষ্টি করা হতো না সেই মানুষটির নাম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি আজ বেঁচে নেই তবু তার আদর্শে আমাদের জীবন চলে।
এরকম ব্যক্তি সমাজ জাতি জ্ঞ্যাতী দেশ মহাদেশ এমনকি পুরো পৃথিবী বিস্তার লাভ করেছে শুধু মানুষ তার নৈতিক আদর্শ গুনে তার কর্মের প্রেরণায় উজ্জীবিত ব্যক্তি সমাজ ও জাতিকে।
আর এইসমস্ত নীতিবান ব্যক্তি দ্বারা কখনো অনৈতিক কোনো কার্যক্রম ঘটেনা বা গঠিত হয় না আমার জানামতে কালক্রমে যদিও এরকম কিছু ঘটনা পরিলক্ষিত হলেও আসলে তাদের আছে নৈতিকতার অভাব তারা তো সমাজেই কুলাঙ্গার হিসেবে পরিচিত হয় এবং প্রমাণ্য চিত্র আঁকে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে অসাধারণ কিছু মানুষ যারা আমাদের সমাজে বসবাস করে আমি তাদের পরিচয় তুলে ধরছি যারা লাশ হলেও তাদের লাশে কথা বলে এরা হলেন:- ইমাম,শিক্ষক, মোয়াজ্জিন,কবি,সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, ডাক্তার,হাকিম , মোক্তার,জাতীয় নেতা,শিল্পী, শিল্পপতি,ইন্জিনিয়ার, নাবিক, ড্রাইভার,মাঝি, অক্লান্ত পরিশ্রমের শ্রমিক ও মাতা-পিতা ইত্যাদি।
উপরোক্ত বর্ণনা মতে আমি যাদের কথা বলছি এরা সবাই সবসময় শুধু নিজেকে সহ অন্যদের নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করে পথপদে নতুন উদ্দীপনায় দিগন্ত খোঁজে যা জাতির জন্য পথ পাথেয়ও হয়ে দাঁড়ায় এবং তাঁরাই সৃষ্টি করে অদ্ভুত রহস্যর গল্প।
আর এই সমস্ত ব্যক্তিরা মরার পরে যা আলোচনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়- কারো শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আবার কারো আদর্শে জীবন চলে আবার কারো চিকিৎসা সেবায় জীবন বাঁচায় আবার কারো আদর্শে পাথেয় সৃষ্টি আবার কারো ধারা নিয়মনীতি এবং বিভিন্ন অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখায়,তাই আমি বলবো এরা মরে গেলেও কর্মের আদর্শে বেঁচে রয় এই সমস্ত ব্যক্তিরা অমর যারা লাশ হয়ে ও কথা বলে।
সে মতে জাতির প্রতি স্ব-বান্ধবে আমার আহ্বান থাকবে আমরা প্রত্যেকেই যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারি ও অসাধারণ কিছু না কিছু রহস্য সৃষ্টি করি যা পরবর্তী উত্তরসূরী জন্যে রেখে যেতে পারি এই শুভকামনায় থাকবে,
এবং সেই রহস্যে যেন হয় চেতনাময়ী আদর্শে প্রেরণায় উজ্জীবিত মানবতার মানুষ লুকন্তরে আমাদের সমাজে জল্পনা ও কল্পনার স্মৃতি ফলক যেন লাশ হয়ে কথা বলে এই দোয়ায় ও প্রার্থনা।