Sharing is caring!
মনির সরকার, সৌদি আরব প্রতিনিধি :
মরদেহ আসার কথা বাংলাদেশে। কিন্তু চলে গেছে পাকিস্তানে। দাফনও হয় সেখানে। সৌদি আরবে মারা যাওয়া কুমিল্লার রুহুল আমিনের মরদেহ নিয়ে ঘটেছে এ ঘটনা। কিং ফয়সাল হাসপাতালের গাফিলতিকে দুষছে, বাংলাদেশ দূতাবাস।
গেলো চার দশকে ভাগ্য ফেরাতে যত মানুষ বিদেশ পাড়ি জমিয়েছেন, তার তিনভাগের এক ভাগেরই গন্তব্য সৌদিআরব। ১৯৭৬ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ নারী ও পুরুষ কর্মী গেছেন তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে।
দুবছর আগে, দুই ছেলে আর স্ত্রীকে রেখে সৌদিআরবে পাড়ি জমান কুমিল্লার পীর কাশিমপুরের বাসিন্দা রুহুল আমিন। গেলো ১৬ ডিসেম্বর মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে কিং ফয়সাল হাসপাতালে মারা যান রুহুল। নিয়ম অনুযায়ী মরদেহ দেশে আনতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সব প্রক্রিয়াও শেষ করা হয়। ঠিক হয় দিনক্ষণও। কিন্তু রুহল আমিনের মরদেহ চলে যায় পাকিস্তান। দাফনও করা হয়েছে সেখানেই। রুহুলের মৃত্যুর খবরের ধাক্কা পরিবারের সদস্যরা সামলে না উঠতেই, খবর আসে মরদেহ পাকিস্তানে দাফনের।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের দাবি, তাদের কোনো গাফিলতি নেই। এই দুঃখজনক ঘটনার দায় বর্তায় কিং ফয়সাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপরই।
সৌদি আরব শ্রম কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা সরাসরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দোষারোপ করতে চাচ্ছি। তারাই এই কফিনটি রিলিজ করেছে। মৃত ব্যক্তির নিয়োগকারী কর্তৃক গভর্নর অফিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর আমাদের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি।
রুহুল আমিন যে স্বপ্নে দেশ ছেড়েছিলেন তার মৃত্যুতে ভেঙে খানখান হয়ে গেছে তা। পরিবার ডুবে গেছে অনিশ্চয়তায়।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসও চায়, বিষয়টি সমাধানের। এ ব্যাপারে সবরকম সহায়তা করতেও প্রস্তুত তারা।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজের চাপসহ নানা কারণে প্রতি বছরই বাড়ছে প্রবাসে বাংলাদেশি কর্মীদের মৃত্যুর হার। গেলো বছর হৃদরোগ, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ ও দুর্ঘটনায় সৌদি আরব থেকে চার হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির মরদেহ দেশে আনা হয়েছে।