আব্দুর রহিম রানা, যশোর থেকে :
তিনটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত, একাধিক হত্যা, চাঁদাবাজি, বিষ্ফোরকসহ ১০ মামলার আসামি যশোর জেলা যুবলীগের
প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনকে আদালতে চালান দিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশ মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মিলন ওরফে টাক মিলনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে চালান দিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি না হওয়ায় জেলহাজতে
প্রেরন করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ আমাদের প্রতিনিধি আব্দুর রহিম রানাকে
জানান, মিলনকে পুরাতন কসবা কাজিপাড়া এলাকার শরিফুল ইসলাম সোহাগ হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
কোতয়ালি থানার মামলা নং-১১০। তারিখঃ ২৯.০৯.১৮। ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
এর আগে রোববার ১২ জানুয়ারি রাত আটটায় মিলনকে ঢাকার হযরত শাহজ্বালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে আটক করা হয়।
এই দিন রাতে জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন দুবাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের একটি বিমানে এসে হযরত শাহজ্বালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে স্বপরিবারে নামে।
মিলন তিনটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি। ওই তিন মামলায় মিলনকে আটক করা হয়।
ওয়ারেন্ট গুলি হচ্ছে, এস টিসি ২৬৩/১৫, এস টিসি ২২৫/১৬, এস টিসি ২৪৮/১৭।
এছাড়াও মিলনের নামে কোতয়ালি থানায় আরো ১০ টি মামলা রয়েছে। মামলা গুলি হচ্ছে কোতয়ালি থানার মামলা নং-৮৮। তারিখঃ-২৭.১০.১৯। মামলা নং-১১০, তারিখ-২৯.০৯.১৮। মামলা নং-৯৫, তারিখ-১৯.০৮.১৭। মামলা নং-১১৩, তারিখ-২৬.০৮.১৪। মামলা নং-৪৮, তারিখ-০৮.০৪.১২। মামলা নং-১২২, তারিখ-২২.০৬.০৬। মামলা নং-৬০, তারিখ-১৬.০৪.০৬। মামলা নং-০৩, তারিখ-১৪.০৪.০৬। মামলা নং-১৮,
তারিখ-০৫.০৪.০৬। মামলা নং-১১১, তারিখ-২৪.০৮.০৫। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ বলেন, মিলনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশে সোহাগ হত্যা মামলার পলাতক
এক নাম্বার আসামি ইয়াসিন মোহম্মদ কাজল গলায় পোচ দিয়ে জবাই করে সোহাগের মৃত্যু নিশ্চিত করে।
আর অন্য সহযোগি আসামিরা সোহাগের হাত পা চেপে ধরে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে মিলনের সাথে সোহাগের বিরোধ সৃষ্টি হয়। মামলার
এক নাম্বার আসামি ইয়াসিন মোহম্মদ কাজলের নিয়ন্ত্রনেই এক সাথে চলাফেরা করতো নিহত সোহাগ।
ইতিপূর্বে সোহাগ হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি আকাশ আদালতে ১৬৪
ধারায় জবান বন্দি দেয় মিলনের নির্দেশেই সোহাগকে হত্যা করা হয়। এছাড়া মোবাইলের কললিস্ট যাচাই করে দেখা যায় সোহাগ হত্যাকান্ডে মিলন ওরফে টাক মিলনের প্রবক্স প্রাইভেটকার ব্যবহার করা হয়। ওই কারে করে অস্ত্রসহ আসামিদের বহন করার তথ্য পাওয়া যায়।#
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.