২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হালিশহরে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় বন্ধুর জবানবন্দি

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৪, ২০২০
হালিশহরে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় বন্ধুর জবানবন্দি

Sharing is caring!

আল আমিন,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

নগরীর হালিশহরের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা অরুনকে গ্রেপ্তারের মধ্যদিয়ে ঘটনায় জড়িত দুইজনকেই আইনের আওতায় আনল পুলিশ। এর আগে গ্রেপ্তারকৃত আসামি বিপ্লব দাস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার সাথে দুইজনের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে নিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের সামনে এ জবানবন্দি দেয়া হয়। এদিকে ওই স্কুল শিক্ষার্থীর কলেজ পড়ুয়া বন্ধুও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বিচারকের সামনে পুরো ঘটনার বর্ণনা করেছে। গ্রেপ্তার অরুণের কাছ থেকে ভিকটিম ও তার বন্ধুর ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে হালিশহর থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত দুইজনকেই আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। উদ্ধার হয়েছে মোবাইল। আসামিদের একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে পুরো ঘটনা সামনে এনেছে।
প্রসঙ্গত: গত ৯ ডিসেম্বর বন্ধুসহ বেড়াতে গিয়েছিলেন হালিশহর বারুনীস্নান ঘাট হয়ে সাগর সৈকতে। সূর্যাস্তের সময় তারা আড্ডা দিচ্ছিলেন জেলেদের নোঙর করা নৌকায়। একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন ‘বড় ভাইরুপী বিপ্লব দাস, সঙ্গে ছিল অরুন। দুইজনে ওই শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুকে রীতিমত জেরা করা শুরু করেন। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাঁটুপরিমাণ কাদা মাটিতে হাঁটিয়ে নিয়ে যান পাশের মৎস্য খামারে। মৎস্য খামারে নিয়ে ওই ‘বড় ভাই’ ভিকটিমের বন্ধুকে নির্দেশ দেন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার জন্য। বন্ধু অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারধর করে খামারের এককোণায় আটকে রাখা হয়। এরপর দুইজনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। মারধরে আহত বন্ধু আর ধর্ষণে বিধ্বস্ত মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায় দুই ধর্ষক। পরে মৎস্য খামার থেকে বেরিয়ে রাত আটটার দিকে হালিশহর থানায় এসে ঘটে যাওয়া বীভৎস ঘটনার বর্ণনা দেন ভিকটিম ও তার বন্ধু।
এরপর মেয়েটিকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে। সেখানে মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মেলে। ওই রাতেই অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয় হালিশহর থানায়।
এ বিষয়ে হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, হালিশহর বিচে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া এক তরুণী অভিযোগের ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা বিপ্লব দাসকে আটক করেছি। ওই তরুণী ধর্ষককে দেখে নিশ্চিতও করেছেন। অভিযুক্ত বিপ্লব দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালাতে জবানবন্দি দিয়েছে। এতে সে ধর্ষণের ঘটনা বর্ণনা করেন। এরপর ধরা হয় অরুনকে। ভিকটিমের বন্ধু কলেজ শিক্ষার্থীকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারকের সামনে জবানবন্দি দেয়। মামলার সাক্ষী হিসেবে তার এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় আদালতে।