Sharing is caring!
অভিযোগ ডেস্ক : স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. দানিলো তুর্ক বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও দেশটির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েন রয়েছে।
তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উদ্বেগের বিষয় হলেও যুক্তরাজ্যের বিকল্প নেই। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র।
২০০৭ থেকে ২০১২ মেয়াদে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. দানিলো তুর্ক শনিবার (১১ জানুয়ারি) নগরীর একটি হোটেলে ‘ইইউ অ্যান্ড দ্য কনটেম্পরারি গ্লোবাল সিনারিও : এ রিফ্লেকশন ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক এক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন ‘ডিস্টিংগুইশ স্পিকার্স লেকচার সিরিজ’ এ সংলাপের আয়োজন করে। কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান সংলাপের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (আইএসএএস) প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশকে ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে ড. তুর্ক বলেন, বাংলাদেশ ইউরোপীয় কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠছে।
তিনি ইউরোপীয় কমিশনের বৈদেশিক বিষয়ক ও সুরক্ষা নীতি সম্পর্কিত ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের সহ-সভাপতি জোসেপ বরেলের সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দেন।‘জোসেপ আপনাদের একজন প্রথম সারির বন্ধু,’ যোগ করেন তিনি।
১৯৭৩ সালের পর থেকে বাংলাদেশ ও ইইউ গোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে। এ গোষ্ঠীটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। প্রতি বছর বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে প্রায় ৭০-৮০ মিলিয়ন ইউরো উন্নয়ন সহযোগিতা হিসেবে পায়। ইইউ থেকে পাওয়া উন্নয়ন সহযোগিতার পুরোটাই বাংলাদেশ অনুদান হিসেবে পায়।