Sharing is caring!
হেলাল আহমদ,লেবানন প্রতিনিধি:
গত বুধবার (০৮জানুয়ারি ২০২০) রাজধানী বৈরুতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তরে মাননীয় রাষ্ট্রদূত ‘অাবদুল মোতালেব সরকার’ লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর ‘রিয়াদ সালামেহ্’ সঙ্গে মিলিত হন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশী কর্মীদের নানা সমস্যা বিশেষ করে লেবাননের মুদ্রা সংকট ও প্রবাসী কর্মীদের রেমিট্যান্স পাঠানো সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁর সাথে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত এ সমস্যার সমাধানে গভর্নরের সসহযোগিতা কামনা করেন।
জবাবে গভর্নর রাষ্ট্রদূতকে বলেন, মুদ্রা সংকটের সমাধানের কোন সহজ পথ নেই। এজন্য লেবাননের রাজনৈতিক সমস্যার দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।
মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে ডলারের উচ্চ বিনিময় হারের বিষয়ে তিনি বলেন, লেবাননের অর্থনীতি হল মুক্ত বাজার অর্থনীতি।
তাছাড়া মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো সুনির্দিষ্ট আইন দ্বারা পরিচালিত। তাদের বিনিময় হার মার্কেটের চাহিদা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
তাই লেবাননের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের ফলে বিদেশি পর্যটক ও বিনিয়োগকারীদের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং সর্বোপরি এ অবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা প্রয়ােজন।
এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন প্রথম সচিব (শ্রম) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
প্রসঙ্গতঃ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেশটিতে মার্কিন ডলার সংকট দেখা দেয়। আগে লিরাকে ডলারে রুপান্তরিত করতে প্রতি ১০০ শত ডলারে দেড় লক্ষ লিরা (LBP) লাগতো। ডলার সংকট শুরুর পর তা সাম্প্রতিক সময়ে ২ লাক্ষ ৫০ হাজার লিরা (LBP) পর্যন্ত ঠেকেছে, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।
লেবাননের স্থানীয় ডাকঘর লিবান (১৪ ডিসেম্বর ২০১৯) পোস্টের মাধ্যমে দেশে ডলার প্রেরনের সুযোগে ৪ দিনে প্রায় ৩ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রায় ৭ লক্ষ ৮০ হাজার ডলার বাংলাদেশে প্রেরন করেছে।
কিন্তু লিবান পোস্ট হঠাৎ করে এই সুযোগটি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বর্তমানে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী এখন স্থানীয় মুদ্রা লিরা (LBP) নিয়ে পুনরায় বিপাকে অাছে। দুশ্চিন্তা অার অপেক্ষায় দিন পার করছে।