সুলতান আল একরাম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কথিত গাছ ব্যবসায়ী আলীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়,সারুটিয়া ইউনিয়নের বড় মৌকুড়ী গ্রামের হত দরিদ্র ভাদু সেখের ছেলে আলীম উদ্দিন বর্তমান এলাকার নব্য লাখপতি। যিনি সামান্য ‘স’ মিলের মিস্ত্রি থেকে শুধু গাছ চুরি কাঠ চুরিই নয়, নানা অপরাধে জড়িয়ে রাতের আধারে শুন্য থেকে এলাকার রাজনৈতিক নেতাবনে গেছে। সন্ত্রাসী প্রভাব বিস্তার করে একাধিকবার সে ও তার স্ত্রী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে স্থানীয় নেতার মদদে বিভিন্ন অপকর্ম করেই চলেছে।
এলাকা ঘুরে জানা গেছে, আলীম উদ্দিন একসময় জাতীয়পার্টি ও পরবর্তিতে বিভিন্ন দলের সমর্থক হিসেবে নানা সুবিধা ভোগ করেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুবিধাবাদী দালালচক্রের সাথে আতাত করে বর্তমানে বিশাল আওয়ামী নেতার স্বীকৃতি পেয়েছে। এলাকার প্রভাব খাটিয়ে সালিশ ব্যবসায় সে দারুন সফলতা অর্জন করেছে। তবে রাতের আধারে সরকারি রাস্তার গাছচুরি করে বিক্রি করা কখনো ‘স’ মিলে চেরাই করে সুবিধামত চালান করাই তার প্রধান পেশা। এপেশায় জড়িত রয়েছে একাধিক দালাল ও রাজনৈতিক চক্র, যারা আলীম উদ্দিনকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছে। বিশেষ করে আলীম উদ্দিন কাঠব্যবসার আড়ালে মূলত সরকারি গাছপালা কেটে ভাগবাটোয়ারা করার অন্যতম নেতা। তার বিক্রিত কাঠ ও টাকার ভাগ নিয়ে কাতলাগাড়ী বাজার ও মৌকুড়ী গ্রামে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। যেহেত প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার মদদে চলে এসব অপকর্ম সে কারনে আলীম উদ্দিন ধরাকে সরাজ্ঞান করতে কারো ধার ধারেনা। গত ২৮ ডিসেম্বর বড় মৌকুড়ী গ্রামের অন্যতম প্রধান রাস্তা যার আইডি নং-২৪৪৮০৪১১২, ব্রহ্মপুর (মৌবন হাই স্কুল) জিপিএস, বড় মৌকুড়ী সড়ক থেকে বেশকিছু মেহগনি গাছ সাবার করে দিয়েছে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট থেকে সরকারি রাস্তা নয় রেকর্ডিও সম্পত্তি বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য নামমাত্র একটি অনুমতিও নাকি নিয়েছে। তাছাড়া রাস্তা যদি সরকারি না হবে তাহলে ওই রাস্তায় টেন্ডার হয় কিভাবে আর এলজিইডি’র রাস্তার আইডি নম্বর কোথা কি ভাবে হলো? একাধিকবার রাস্তাটিতে সরকারি মাটির কাজ হয়েছে কিভাবে এমন নানা প্রশ্ন এলাকাবাসীর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। গাছ সংশ্লিষ্ট অভিযোগ করায় বর্তমানে আলীম উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে বড় মৌকুড়ী গ্রামের একটি পরিবারকে জিম্মি করার পায়তারা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে সরকারি রাস্তার গাছ সাবাড়ের অভিযোগ অস্বীকার করে আলীম উদ্দিন জানান, সে একজন গাছ ব্যবসায়ী তবে চুরি কারবারির সাথে জড়িত নেই। তাছাড়া সন্ত্রাসী প্রভাব খাটানোর বিষয়টি সে এড়িয়ে যায়।
এব্যাপারে সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন রাস্তাটি এখনো সরকারী করনের আওতায় আসেনি স্থানীয় ভূমি অফিসের আওতায় রয়েছে। জমির মালিক এই গাছ বিক্রয় করেছে। আর আলিম উদ্দীন এই গাছ কিনেছে বলে আমি জানি।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.