Sharing is caring!
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মেয়ের কবরের পাশে বসে এক মাস ধরে কাঁদছেন বাবা। ঘটনাটি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউপির সবাইকে নাড়া দিলেও পুলিশ দিতে পারছে না এর কোনো সমাধান। ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পক্ষিয়া ইউপিতে এক মাস আগে তিন সন্তানের জননী বিবি মরিয়মের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় ভোলা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মেয়েকে পিটিয়ে জামাই হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন মেয়ের বাবা। তিনি দাবি করছেন তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় মেয়ের হত্যাকারীর বিচার যেন দেখে যেতে পারেন। এদিকে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল মোটা অংকের অর্থের বিনিময় এ হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মেয়ের বাবা পক্ষিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. বাদশা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে একই ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাহাঙ্গীর ওরফে ঠান্ডির সঙ্গে আমার মেয়ে বিবি মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই আমার মেয়েকে মারধর করতো মেয়ের জামাই। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কষ্ট সহ্য করে। গত ২৮ নভেম্বর সকালে আমার মেয়েকে বেদম মারধর করে জামাই জাহাঙ্গীর। এরপর ওই দিন রাতে আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে মেরে পাশ্ববর্তী ইউসুফ এর ঘরের পাশে ফেলে রেখে ওই রাতেই পালিয়ে যায় মেয়ের জামাই জাহাঙ্গীর। আমার একটি মাত্র মেয়েকে ও পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি ওর ফাঁসি চাই।
এলাকাবাসী জানান, মেয়েটিকে হারিয়ে বৃদ্ধ বাবা বাদশা মিয়া প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একমাত্র মেয়েটির কবরের পাশে বসে থাকে। মেয়েটিকে হারিয়ে বৃদ্ধ বাবা দিশেহারা। তার একটাই চাওয়া জীবিত অবস্থায় তার মেয়ের হত্যারকারীর বিচার যেন দেখে যেতে পারেন।
নিহতের মেয়ে জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯ম শ্রেণির ছাত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, মাকে বাবা ওই দিন সকালে একটি লাথি মেরেছে। আর কিছু করেনি। ওই দিন রাতে মায়ের সঙ্গে আমরা দুই বোন ঘুমিয়ে গেছি। আর কিছু বলতে পারি না। গভীর রাতে পাশের বাড়িতে মায়ের লাশের কথা শুনে আমরা কান্নায় ভেঙে পড়ি।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মু. এনামুল হক বলেন, ভোলা আদালতে মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খুব গভীরভাবে তদন্ত করছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।