২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

লেবাননের দূতাবাসে বিনামুল্য চিকিৎসা সেবা, প্রবাসীদের উপচেপড়া ভিড়

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
লেবাননের দূতাবাসে বিনামুল্য চিকিৎসা সেবা, প্রবাসীদের উপচেপড়া ভিড়

Sharing is caring!

হেলাল আহমদ,লেবানন থেকেঃ

লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস‌ ও লেবাননের জলসীমানায় অবস্থিত নৌবাহিনীর জাহাজ বিজয়ের যৌথ উদ্যোগে নৌবাহীনির লেবানন প্রবাসীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়।

 

স্থীয় সময় সকাল নয়টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যম্ত বিরতীহীন ভাবে চলে এই কার্যক্রম। নৌবাহীনির দুই জন ডাক্টার চার শতকের অধীক প্রবাসীর বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা দেন ও তাদের হাতে ঔষধ তুলে দেন।

 

২৯ ডিসেম্বর রবিবার দূতাবাস প্রঙ্গণে সকাল নয়টা ১২তম মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার ও নৌবাহীনির সদস্য বৃন্দ। এসময় প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভির জমে যায়।

 

লেবাননের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসে প্রবাসীরা। চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বেলা ২টা পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও অনুমানের চেয়ে উপস্থিতির সংখ্যা বেশী হলে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত চলে কার্যক্রম। এতে খুশি প্রবাসীরা।

 

চিকিৎসা নিতে আসা প্রবাসীরা জানালেন তাদের কষ্টের কথা। অধীকাংশ রোগী তারা লেবানিজ ডাক্টার দেখিয়েছেন, কিন্ত ভাষাগত সমস্যার কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেননি। অনেক অসহায় প্রবাসীও রয়েছেন যারা টাকার জন্য ঔষধ ক্রয় করতে পারেন নি।

 

আবার কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। দূতাবাস ও জাহাজ বিজয়ের এমন আয়োজনে একটু হলেও আশার আলো দেখছেন তারা। অন্তত নিজ ভাষায় রোগের কথা সঠিক ভাবে বুঝাতে পেরেছেন বাংলাদেশী ডাক্টারদের নিকট। বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাহাজ বিজয়ের সকল কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন তারা।

 

লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীরা লেবাননে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, লেবাননে চিকিৎসা খরচ ব্যয়বহুল হওয়ায় আর্থিক অভাবে কিছু প্রবাসী চিকিৎসা নিতে পারেন না।

 

কেউ কেউ আবার ভাষাগত সমস্যার কারণে লেবানিজ ডাক্টারদের রোগের কথা বুঝিয়ে বলতে না পারায় পাননা সঠিক চিকিৎসা। এসকল বিষয় চিন্তা‌ করেই বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ বিজয়ের সহযোগিতায় বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
ধারাবাহিক ভাবে চলবে এমন চিকিৎসা সেবা, এমনটি প্রত্যাশা সাধারণ প্রবাসীদের।